Doklam Stand-off

উপেক্ষা নীতিতেই কি শান্ত ডোকলাম

দু’পক্ষের শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক কর্তাদের বৈঠক জারি রয়েছে, সেখানে ছয় সপ্তাহেই লাদাখে যে ভাবে দফায় দফায় সংঘর্ষ হল, তাতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতি নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২০ ০৫:৪০
Share:

ভারত উপেক্ষা করার নীতি নিয়েছে। সে জন্যই ডোকলামে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না। ছবি: এপি।

উত্তর-পশ্চিমে লাদাখ সীমান্ত যখন উত্তপ্ত, তখন উত্তর-পূর্বে তিন বছর আগে কার্যত সংঘাত বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল ডোকলাম সীমান্তে। তবে তা এখন একেবারেই নিরুত্তাপ। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৭ সালে এই ডোকলামেই প্রথম চিনের সঙ্গে বড় বিবাদ বাধে ভারতের। ভুটানের ওই মালভূমি এলাকায় নিজেদের সড়ক পরিকাঠামো বানানো শুরু করে চিন। নিজেদের এলাকায় চিনের নির্মাণ কাজে আপত্তি জানায় ভুটান। চিনের বিরোধিতা করে সেনা পাঠায় ভারতও। ৭৩ দিন দু’পক্ষ অনড় থাকলেও সে বার প্রাণহানি হয়নি।

Advertisement

কিন্ত এখন যখন দু’পক্ষের শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক কর্তাদের বৈঠক জারি রয়েছে, সেখানে ছয় সপ্তাহেই লাদাখে যে ভাবে দফায় দফায় সংঘর্ষ হল, তাতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতি নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও সরকারের একটি সূত্রের মতে, দু’জায়গার পরিস্থিতি ভিন্ন। ডোকলামে চিন সড়ক বানাচ্ছিল। তাতে আপত্তি জানায় ভারত। আড়াই মাসের অচলাবস্থার পরে দু’পক্ষই সরে যায়। এখানে পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। লাদাখে ভারত সড়ক বানাচ্ছে। যা তৈরি হলে চিনের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে যাবে ভারত। এখানে আপত্তি তাই চিনের। ফলে বিরোধিতা করছে চিন। যদিও বিরোধীদের মতে, ডোকলাম থেকে উভয় পক্ষ সরে এসেছিল ঠিকই, কিন্তু ফের চিন সেখানে পরিকাঠামোগত কাজ শুরু করেছে। ভারত যা দেখেও উপেক্ষা করার নীতি নিয়েছে। সে জন্যই ডোকলামে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: মোদীর ‘দোলনা নীতি’ নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীর

Advertisement

আরও পড়ুন: রাতের সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত, চিনের তরফেও হতাহত ৪৩

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন