টানা সাত দিন দুর্যোগের পর ছন্দে ফিরছে জম্মু ও কাশ্মীর। দীর্ঘ দুর্যোগের পর আজই সূর্যের মুখ দেখল উপত্যকাবাসী। দুপুর থেকেই পরিষ্কার হয়েছে আকাশ। আপাতত ফাঁড়া কাটল বলেই মনে করছেন আবহবিজ্ঞানীরা। তবে গত কাল রাতেই শ্রীনগর-সহ উপত্যকার বেশ কয়েকটি জায়গায় ফের প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। আজ দুপুর নাগাদ বৃষ্টি থেমেছে। এ দিন ভারী বর্ষণের জেরে বেশ কিছু এলাকায় ধস নামে। ডোডা জেলায় একটি বাড়ি ধসে এক পরিবারের ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা। পাশাপাশি, বারামুলা জেলাতেও ধসে মারা গিয়েছেন দু’জন।
গত কালই আবহাওয়া দফতর থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, আজ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। সে কারণে সারা রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার থেকে টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর বেশির ভাগ স্কুলই আজ খুলে গিয়েছে। তবে শ্রীনগর-সহ উপত্যকার বেশ কিছু অঞ্চল এখনও জলমগ্ন। সে কারণে ওই সব এলাকার স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সেই সঙ্গে আবহবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আগামী চার দিন আবহাওয়া ভালই থাকবে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ঝিলম নদীর জলস্তর।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন বারামুলা জেলার উরি এলাকায় আব্দুল জব্বর ওয়ার এবং মহম্মদ দিলাওয়ার মির নামে দু’জন কাছের একটি জঙ্গলে মাশরুম আনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকা তাঁরা ধসের কবলে পড়েন। আব্দুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত মির হাসপাতালে যাওয়ার পথেই প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে, রবিবার রাতে বদগামে বাড়ি ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন দু’টি পরিবারের ১৬ জন সদস্য।
পাশাপাশি, জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের কয়েকটি জায়গাতেও ধস নামে। ফলে আজ ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই রাস্তা। জাতীয় সড়কটি বন্ধ থাকায় সেখানে আটকে পড়েছে বহু গাড়ি। এ দিন জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের জায়গায় জায়গায় রয়েছে গাড়ির লাইন। দুর্ভোগের শিকার প্রায় ৫০০ যাত্রী।