‘জোশ’ অনেক, ‘জব’ কোথায়? বিজেপিকে পাল্টা খোঁচা কংগ্রেসের

বলিউডের তারকার মাঝে প্রধানমন্ত্রী। অটল-সেতু উদ্বোধনে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অসুস্থ মনোহর পর্রীকর। প্রবীণ সেনানিদের নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অমেঠীর বাসিন্দাদের উদ্দেশে স্মৃতি ইরানি। 

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৪
Share:

আসন্ন বসন্তে এ ছবি দেখে ভাল লাগে।

বলিউডের তারকার মাঝে প্রধানমন্ত্রী। অটল-সেতু উদ্বোধনে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অসুস্থ মনোহর পর্রীকর। প্রবীণ সেনানিদের নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অমেঠীর বাসিন্দাদের উদ্দেশে স্মৃতি ইরানি।

Advertisement

সকলের মুখে একটিই প্রশ্ন। প্রশ্নটি আসলে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বলিউডের তারকার মাঝে প্রধানমন্ত্রী। অটল-সেতু উদ্বোধনে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অসুস্থ মনোহর পর্রীকর। প্রবীণ সেনানিদের নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অমেঠীর বাসিন্দাদের উদ্দেশে স্মৃতি ইরানি। ’ সিনেমার একটি সংলাপ— ‘হাও ইজ দ্য জোশ?’ উত্তর আসছে: ‘হাই স্যর।’ সেটিও সংলাপের অংশ।

সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভিত্তিতে নির্মিত এই ছবির সংলাপকে প্রচার করে মোদী ও তাঁর সেনাপতিরা বিজেপির জাতীয়তাবাদকে উস্কে দিচ্ছেন।

Advertisement

এ বার পাল্টা অস্ত্র খুঁজছে কংগ্রেসও। মোদীর ভাষাতেই মোদীকে জবাব দিতে। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘আমরাও খুঁজে বার করছি পাল্টা সংলাপ— ‘হাও ইজ দ্য জবস?’ অথবা ‘হোয়ার আর দ্য জবস?’ আর তার উত্তর আসবে ‘নো স্যর’।’’ নেতৃত্ব ছাড়পত্র দিলে শীঘ্রই কংগ্রেসের এই নতুন স্লোগানও ‘মুক্তি’ পাবে। দলের মতে, যে ভাবে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান এখন জনপ্রিয় হয়েছে, তেমনই হাততালি কুড়োবে নতুন স্লোগানও।

ছত্তীসগঢ়ের জনসভায় আজই রাহুল গাঁধী স্পষ্ট করেছেন, দু’টি ভারত তিনি চান না। এক দিকে গরিব ভারত আর অন্য দিকে নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের ভারত। গরিব ভারতে কৃষির সঙ্কট রয়েছে, যুবকদের বেকারি রয়েছে। ‘মোদীর ভারত’-এর বন্ধু শিল্পপতিদের মুনাফার সুযোগ রয়েছে। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, নোটবন্দি আর তাড়াহুড়ো করে রূপায়ণ করা জিএসটি-র পর বেকারির সঙ্কট আরও বেড়েছে। ক্ষমতায় আসার আগে বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। তার ধারে কাছে যেতে পারেননি, উল্টে রোজগার কমেছে। মোদীর সেই দুর্বল জায়গাতেই ঘা দেওয়া যাবে নতুন স্লোগানে।

রোজগার যে নরেন্দ্র মোদীর ‘দুর্বল’ জায়গা, সে’টি স্পষ্ট নানা সময়ে তাঁর ও অন্য সেনাপতিদের অসংলগ্ন মন্তব্যে। গত বছরেও সংসদে বেরোজগার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সময় ইপিএফও-তে নথিভুক্তকরণ, সংগঠিত-অসংগঠিত ক্ষেত্র, চিকিৎসক-ইঞ্জিনিয়ার-আইনজীবীদের মতো পেশাদার, নতুন গাড়ি কেনা, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিস্তার, মুদ্রা প্রকল্পে জুড়ে

এক কোটি নতুন রোজগারের একটি অঙ্ক মিলিয়েছিলেন। যেটিও তাঁর নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকেও অনেক কম।

কিন্তু তাল ঠুকে কখনওই বলতে পারেননি কত রোজগার হয়েছে। বরং কখনও পকোড়া, কখনও মুরগি-মাজন বেচে রোজগারের হদিস দিয়েছেন। তবে যত বারই তিনি এমন চেষ্টা করেছেন, বিরোধীরা তার ফাঁকফোকর ধরে ভোঁতা করে দিয়েছে মোদীর যুক্তি। বিরোধীদের বক্তব্য, নতুন রোজগার তো দূরস্থান, কাজ বরং কমেছে। নোটবন্দির পরে খাস সরকারি রিপোর্টও এমন কথাই বলছিল। তড়িঘড়ি সেই রিপোর্ট প্রকাশও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন