প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার ষষ্ঠ আসনে এখনও প্রার্থী ঠিক করতে পারল না বিরোধীরা। বামেরা চাইছে ওই আসনে ‘নিরপেক্ষ’ কোনও প্রার্থীকে দাঁড় করাতে। যাঁকে কংগ্রেসও সমর্থন করবে। যদিও কংগ্রেস ঘুরপথে এমন জোটে যেতে খুব রাজি নয়! তারা বরং রাজনৈতিক প্রার্থীই দিতে চায়। দুই শিবিরই অবশ্য বুধবার রাত পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি।
রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সমর্থন নিতে এবং তাদের সমর্থন জানাতে আপত্তি তুলেছে সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এ দিন বলেছেন, ষষ্ঠ আসনে তাঁরা নিরপেক্ষ কাউকে চাইছেন। যে ভাবে অতীতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অর্জুন সেনগুপ্ত, শঙ্কর রায়চৌধুরী, সৈয়দ আহমেদ মালিহাবাদীরা রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। প্রার্থী দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি করে তাঁরা তৃণমূলের সুবিধা করে দিলেন, এই অভিযোগও মানতে চাননি ইয়েচুরি। কেন্দ্রীয় কমিটির মত নিয়ে কলকাতায় ফিরে এ দিন সন্ধ্যাতেই বামফ্রন্টে আলোচনা করেছেন বিমান বসু। কৃষিবিজ্ঞানী স্বামীনাথনের মতো কাউকে প্রার্থী করতে চেয়ে তাঁরা কংগ্রেসের মতের অপেক্ষা করছেন।
কংগ্রেস নেতারা অবশ্য এমন ‘নিরপেক্ষ’ সূত্রে রাজি হচ্ছেন না। প্রার্থী হলে ইয়েচুরিকেই তাঁরা সরাসরি সমর্থন করতে তৈরি ছিলেন। দিল্লিতে দলের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ডেকে আলোচনা করেছেন। এক প্রাক্তন ক্রিকেটার, দুই ব্যবসায়ী, এক জেলা নেতা-সহ কংগ্রেসের তরফে অন্তত চার জনের নাম তালিকায় আছে। বিদায়ী সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও নিজের মতো চেষ্টা চালাচ্ছেন। হাইকম্যান্ডের কাছে প্রদেশ সভাপতির মত, রাজ্য থেকে কাউকে বাছতে সমস্যা হলে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক সি পি জোশীকেও প্রার্থী করা যেতে পারে। তৃণমূলের পাঁচ প্রার্থী এ দিনই মনোনয়ন পেশ করেছেন।