শংসাপত্রে শুধু চরিত্র নয়, ছাত্র-ছাত্রীর ক্ষমতা, দক্ষতা ও ঝোঁক— এগুলির প্রতিফলন জরুরি বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই নতুন ধরনের শংসাপত্র চালু করতে চান তিনি। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে এর জন্য প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
দশম শ্রেণিতে পাশ করলে পড়ুয়ারা ‘ক্যারেকটার সার্টিফিকেট’ পান। শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আজ এক অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, ‘‘ওই শংসাপত্র দেওয়াটা স্রেফ একটা আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে।’’ তাঁর মতে, বদলে কোনও পড়ুয়া কী বিষয়ে দক্ষ, কোন দিকে তার ঝোঁক, সে নিয়মানুবর্তী কি না কিংবা তাঁর সম্পর্কে বাড়ির লোক ও বন্ধুরা কী ভাবছে, তা জানা বেশি প্রয়োজন। এতেই সেই পড়ুয়ার প্রকৃত মূল্যায়ন করা সম্ভব।
শুধুই মত প্রকাশ নয়, বাস্তবেও শংসাপত্রে এই সংস্কার ঘটাতে চলেছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে এমন সফ্টওয়্যার বানাতে বলা হয়েছে, যার মাধ্যমে তিন মাস অন্তর কোনও ছাত্র-ছাত্রী সম্পর্কে তার বন্ধুরা, পরিবারের লোক ও শিক্ষকেরা মন্তব্য করতে পারবেন। মোদীর ব্যাখ্যা, এর ফলে ওই ছাত্র বা ছাত্রীর নিজেকে চিনতে সুবিধে হবে। সে জানতে পারবে, তার দক্ষতা ঠিক কোন দিকে। কোন বিষয় নিয়ে তাঁর ভবিষ্যতে এগোনো উচিত।
প্রধানমন্ত্রী আজ পরোক্ষে বার্তা দেন পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরও। তাঁর মতে, এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যাতে কোনও পড়ুয়া তার স্বাভাবিক দক্ষতা কোন দিকে তা সহজেই বুঝতে পারে। এবং তার কাছে সেই স্বাধীনতা থাকা দরকার যাতে সে তার পছন্দসই বিষয় নিয়েই ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সক্ষম হয়। বাবা-মায়েরা যেন তাঁদের ইচ্ছে চাপিয়ে না দেন তাঁদের সন্তানদের উপরে। মোদীর কথায়, ‘‘বাবা–মা নিজেরা জীবনে যা অর্জন করতে পারেননি চান সন্তানরা যাতে সেই লক্ষ্যে পৌঁছন। আর তা করতে সন্তানদের উপর অহেতুক চাপ দিতে থাকেন তারা। ফলে প্রকৃত শিক্ষার পরিবর্তে সন্তানরাও জোর দেয় ডিগ্রি ও চাকরি পাওয়ার উপরে। এতে শিক্ষার মূল লক্ষ্যটিই হারিয়ে যায়।’’