RSS

সঙ্ঘ দফতরের নিরাপত্তায় আধাসেনা কেন, প্রশ্ন

জেড প্লাস নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বর্তমানে কোনও রাজনৈতিক দলের দফতরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নেই সিআইএসএফ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:২১
Share:

সূত্রের দাবি, জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছেন আরএসএস নেতারা। প্রতীকী ছবি।

নূপুর শর্মা-কাণ্ডের পরে দেশে বেড়েছে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা। রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপরে হামলার পরিকল্পনা করা আইএস জঙ্গি সদ্য ধরা পড়েছে রাশিয়ায়। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, রাজনৈতিক নেতৃত্বের পাশাপাশি, জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছেন আরএসএস নেতারা। এমনকি, সঙ্ঘের দফতরগুলিও জঙ্গি নিশানায়। সেই কারণে দিল্লির সঙ্ঘের দফতর কেশব কুঞ্জ ও শাখা উদাসীন আশ্রমের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী(সিআইএসএফ)-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্তত ৭০ জন আধাসেনা জওয়ানের উপরে ওই দুই ভবনের বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

জেড প্লাস নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বর্তমানে কোনও রাজনৈতিক দলের দফতরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নেই সিআইএসএফ। দেশের প্রধান শাসকদল বিজেপির দিল্লিস্থিত সদর দফতরের সুরক্ষার দায়িত্বে দিল্লি পুলিশ। ফলে কেন শুধু সঙ্ঘের দফতরে আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। দিন কয়েক আগে অপেক্ষাকৃত জনসমাগম কম হয়, এমন বিমানবন্দরগুলি থেকে প্রায় ৩,০৪৯ জন সিআইএসএফ কর্মী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় বিমান মন্ত্রক। পরিবর্তে সেখানে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। দু’টি বিষয়ের মধ্যে যোগসূত্র টেনে ক্ষুব্ধ জয়রামের টুইট, ‘বিমানবন্দরের সুরক্ষা দেখবে বেসরকারি সংস্থা আর সঙ্ঘের দফতরের নিরাপত্তায় থাকবে সিআইএসএফ। বাহ্! মোদীজি বাহ্’! বিরোধীদের কটাক্ষ, আরএসএস এক সময় বলেছিল, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধে যেতে পারে। তাদের ক্যারাটে শেখানো হয় আত্মরক্ষার জন্য। যারা নিজেরাই যুদ্ধে যেতে বা আত্মরক্ষা করতে পারে, তাদের সুরক্ষার জন্য আধাসেনার কি প্রয়োজন?

যদিও কেন্দ্রের যুক্তি, ২০০৬ সালে নাগপুরে সঙ্ঘের সদর কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছিল লস্কর-এ-তইবা। সম্প্রতি তথ্যে রয়েছে, সঙ্ঘের দফতরে জঙ্গি হামলা হতে পারে। যার ভিত্তিতেই আধা সেনা নিয়োগের সিদ্ধান্ত। আর বেসরকারি সংস্থাকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়ায় কেন্দ্রের যুক্তি, বিমানবন্দরের অনেক স্থান রয়েছে যেগুলি গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বেসরকারি সংস্থা। যাত্রী বা জিনিসপত্রের তল্লাশির মতো সংবেদনশীল কাজের দায়িত্ব আধা সেনার হাতেই থাকছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন