ফাইল চিত্র।
নাগপুরে আরএসএস-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। ৭ জুন তাঁর এই সফর নিয়ে উল্লসিত বিজেপি। তবে স্তম্ভিত কংগ্রেস শিবির। কেউ প্রকাশ্যে কেউ ঘরোয়া ভাবে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।
অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে সঙ্ঘের পক্ষ থেকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নাম ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে নাগপুরে তাঁর যাওয়া নিয়ে সংশয় নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর মন্তব্য, ‘‘প্রণববাবু নাগপুরে যাচ্ছেন, এটা সুখবর। আরএসএস তো পাকিস্তানের সংগঠন নয়!’’ বিজেপির আর এক নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, ‘‘প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে জওহরলাল নেহরু আরএসএস-কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ইন্দিরা গাঁধীও সঙ্ঘের প্রশংসা করেছিলেন। প্রণববাবু অবসরপ্রাপ্ত, রাজনীতিতে নেই। আরএসএস যদি আমন্ত্রণ জানায়, কেনই বা ফেরাবেন?’’
তবে কংগ্রেস যে অখুশি, তা স্পষ্ট। দলের এক শীর্ষ নেতা মনে করান, ২০১০ সালে প্রণববাবুই এআইসিসি অধিবেশনে ইউপিএ সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, জঙ্গিদের সঙ্গে সঙ্ঘের যোগ রয়েছে কিনা দেখতে। তবে প্রণববাবু যে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’, সে কথা মনে করিয়ে কংগ্রেসের সুশীলকুমার শিন্ডের যুক্তি, ‘‘নাগপুরে গেলেই যে প্রণববাবুর মানসিকতা বদলে যাবে, ব্যাপারটা তেমন নয়।’’ কেউ কেউ মনে করছেন, ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পোড়খাওয়া রাজনীতিক। গত কয়েক বছরে প্রণববাবুর কাছে নিয়মিত আসতেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বার চারেক তাঁর বাসভবনে এসেছেন। তখন প্রণবের বাসভবনে কংগ্রেস নেতাদের আনাগোনা কমে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি রাহুল-সনিয়াকে বার্তা দিতেই এমন সিদ্ধান্ত? এই তত্ত্ব উড়িয়ে কেউ কেউ বলছেন, লোকসভা ভোটের আগে আলোচনার মধ্যে থাকতে চাইছেন প্রণব।