elephant attack

ক্যাম্পাসের ভিতরেই হাতি পিষে দিল গবেষককে! কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা

তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূরে কেন্দ্রীয় সরকারের বন্যপ্রাণ গবেষণা সংস্থা ‘সালিম আলি সেন্টার ফর অর্নিথোলজি’-র ক্যাম্পাসের ভিতরে বুধবার রাতে হাতির হামলায় মৃত্যু হয় এক তরুণ গবেষকের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কোয়ম্বত্তুর শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৩ ১০:১৩
Share:

হাতির হামলায় গবেষকের মৃত্যুতে প্রতিবাদের ঢেউ কেন্দ্রীয় বন্যপ্রাণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে। ফাইল চিত্র।

তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূরে কেন্দ্রীয় সরকারের বন্যপ্রাণ গবেষণা সংস্থা ‘সালিম আলি সেন্টার ফর অর্নিথোলজি’ (স্যাকন)-এর ক্যাম্পাসের ভিতরেই হাতির হামলার মৃত্যু হল এক গবেষকের। ঘটনার জেরে ওই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের একাংশ।

Advertisement

স্যাকন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ক্যাম্পাসের মধ্যেই হাতির হামলায় বিশাল শ্রীমল নামে ২৩ বছরের ওই গবেষক গুরুতর আহত হন। কোয়ম্বত্তূরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। রাজস্থানের কৃতী ছাত্র বিশাল রাতে জল আনতে বেরিয়ে হাতির হামলার মুখে পড়েন বলে গবেষকদের একাংশ জানিয়েছেন। কোয়ম্বত্তূর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার আনাইকাট্টিতে জঙ্গলঘেরা এলাকায় স্যাকনের ক্যাম্পাস। উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূন-স্থিত কেন্দ্রীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’ (ডব্লিউআইআই)-এর দক্ষিণ ভারতের আঞ্চলিক সদর দফতর হিসাবেও কাজ করে ওই প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু আনাইকাট্টি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অন্তর্গত ওই আবাসিক ক্যাম্পাসে প্রয়োজনীর নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা নেই বলে দাবি করেছেন নিহত বিশালের সহ-গবেষকদের একাংশ। পশ্চিমঘাটের জীববৈচিত্র নিয়ে গবেষণাকারী এক বাঙালি বিজ্ঞানী বলেন, ‘‘তামিল এবং মালয়লাম ভাষায় ‘আনাই’ শব্দের অর্থ হাতি। বস্তুত, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি হাতির বিচরণক্ষেত্রের মধ্যেই। সড়ক থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার অন্দরে। এই এলাকায় রয়েছে চিতাবাঘ, ভারতীয় বাইসন (গৌর) বুনো শুয়োর-সহ আরও অনেক বন্যজন্তু। কিন্তু গবেষকদের নিরাপত্তায় অনেক ঘাটতি রয়েছে। ক্যাম্পাসের বেড়া মজবুত নয়। নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও। বুধবার রাতে আলো কম থাকার কারণেই হাতিটিকে দেখতে পায়নি নিহত বিশাল।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন