Vaccine

মিশ্র ডোজ়ের গবেষণা শুরু করা হবে দেশেও

দু’টি আলাদা প্রতিষেধকের ব্যবহার সংক্রমণের বিরুদ্ধে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে কি না, তা খতিয়ে দেখতে গবেষণা শুরু করার কথা ভাবছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২১ ০৬:৪২
Share:

দু’টি আলাদা প্রতিষেধকের ব্যবহার সংক্রমণের বিরুদ্ধে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে কি না, তা খতিয়ে দেখতে গবেষণা শুরু করার কথা ভাবছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা।

দু’টি আলাদা সংস্থার প্রতিষেধকের একটি করে ডোজ় প্রয়োগ করে করোনা মোকাবিলার অন্যতম পন্থার খোঁজ পেয়েছেন স্পেনীয় গবেষকদের একটি দল। দু’টি আলাদা প্রতিষেধকের ব্যবহার সংক্রমণের বিরুদ্ধে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে কি না, তা খতিয়ে দেখতে গবেষণা শুরু করার কথা ভাবছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা। অন্য আর একটি গবেষণায় দেখা হবে, কোভিশিল্ড প্রতিষেধকের একটি মাত্র ডোজ় প্রয়োগ করে করোনা-প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জনে সাফল্য পাওয়া সম্ভব কি না। এই প্রয়োগ সফল হলে দেশে প্রতিষেধকের চাহিদা কমবে বলেই মত স্বাস্থ্য কর্তাদের।

Advertisement

মিশ্র প্রতিষেধকের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণাপত্র গত ১৯ মে নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে বলা হয়, স্পেনে ৬৬৩ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থা ও ফাইজার-বায়োএনটেকের প্রতিষেধক প্রয়োগে অনেক বেশি কার্যকর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের প্রথমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার কোভিশিল্ড প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছিল। এঁদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশকে আট সপ্তাহ পরে ফাইজার-বায়োএনটেকের প্রতিষেধক দেওয়া হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, দ্বিতীয় দলটির শরীরে করোনার বিরুদ্ধে শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। ভারতেও এ বার এ ধরনের পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্রের মতে, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে কুড়ি জনকে ভুলবশত দু’টি আলাদা প্রতিষেধকের ডোজ় দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পরে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পল দাবি করেছিলেন, ওই ব্যক্তিরা দু ধরনের প্রতিষেধক নিলেও তাঁদের শরীরে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের মতে, ওই ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁদের শরীরে কেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। বিজ্ঞানীদের মতে, একই সঙ্গে মিশ্র প্রতিষেধকের ব্যবহারে কারও শরীরে করোনা সংক্রমণকে রুখতে সার্বিক ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে কি না তাও দেখা হবে। জুন মাস থেকে ওই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। আগামী তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে এর ফলাফল জানা যাবে বলে আশা
করা হচ্ছে।

Advertisement

সূত্রের মতে, প্রাথমিক ভাবে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধককে বেছে নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। কারণ, কোভিশিল্ড প্রতিষেধক করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে কাজ করে। আর মৃত ভাইরাস থেকে বানানো হয়েছে কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধকটি। দু’টি প্রতিষেধক শরীরে সংক্রমণ না ঘটিয়ে বরং করোনার অনুরূপ স্পাইক প্রোটিন বা কিংবা শরীরে ঢোকা ভাইরাসকে চিহ্নিত করে করোনা-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন