মদ-বোঝাই গাড়ি ধরল স্থানীয় জনতা। পুলিশ পরে তা বাজেয়াপ্ত করে।
আজ দুপুরে মদ নিয়ে যাওয়ার দু’টি পৃথক ঘটনা ঘটে উধারবন্দ বিধানসভা আসন এলাকায়। প্রথমটি নগর বাগানের রাস্তায়। ছোটগাড়ি দ্রুত বাগানমুখো ছুটতে থাকায় জনতার সন্দেহ হয়। রাস্তাতেই আটকানো হয় গাড়িটিকে। যাত্রীরা দ্রুত সরে পড়তে সক্ষম হলেও কংগ্রেস-বিজেপিতে বিবাদ বাঁধে। এক কংগ্রেস কর্মী শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে উধারবন্দ হাসপাতাল রোডে। ট্রাকে করে মদ পাঠানো হচ্ছিল। সেখানেও একদল জনতা লরিটিকে আটকান। পুলিশ দুই জায়গা থেকেই সমস্ত মদের বোতল বাজেয়াপ্ত করে। আটকানো হয় গাড়ি দু’টিকেও। নগরে প্রহৃত কংগ্রেসকর্মীকে উদ্ধার করে পুলিশই মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।
বিজেপির উধারবন্দ ব্লক সভাপতি জগন্নাথ রায়ের অভিযোগ, কংগ্রেস মদ বিলি করে ভোট আদায়ের চেষ্টায় নেমেছে। তিনি জানান, লরিচালক কংগ্রেস নেতা প্রদীপ পাল ওরফে পার্থর নাম উল্লেখ করেছে। পার্থই গাড়িভাড়া করে মদ পাঠাচ্ছিল দরগা সিংহের বাট্টায়। তিনি দু’জনকেই গ্রেফতারের দাবি তোলেন। তবে নগরে কংগ্রেস কর্মীকে মারপিটের ঘটনায় কোনও বিজেপি কর্মী জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মদ ধরেছে সাধারণ মানুষ। পেটালে তারাই পিটিয়েছে।’’
উধারবন্দের কংগ্রেস প্রার্থী, বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য অজিত সিংহ পুরো ঘটনার জন্য বিজেপি-কে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-ই মদ নিয়ে বাগানে যাচ্ছিল। কংগ্রেস কর্মীটি আপত্তি করায় তাঁকে বেদম পেটানো হয়েছে।’’ তিনি প্রশাসনের কাছে পুরো ঘটনার তদন্ত দাবি করেন।
এ দিকে, মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদের বাড়িতে এ দিন জেলা প্রশাসনের একটি দল পুলিশ নিয়ে আচমকা হানা দেয়। তাঁদের কাছে অভিযোগ ছিল, মন্ত্রী বাড়িতে বসে টাকা বিলি করছেন। তাঁরা অবশ্য সিদ্দেক আহমেদকে বাড়িতে পাননি। কিন্তু অনুমতিপত্র ছাড়া যাতায়াত করার জন্য তিনটি গাড়িকে তাঁর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।