National news

প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলায় মেয়ের গলা কেটে খুন করল মা!

প্রতিবেশীরা জনান, ওই মহিলার তিন সন্তান। দুই ছেলে, এক মেয়ে। স্বামী রিকশা চালান। অনেক দিন ধরেই সুধীরের সঙ্গে ওই মহিলার সম্পর্ক ছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রেমিকের সঙ্গে মাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিল সাড়ে ছয় বছরের মেয়েটি। বাবাকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল সে। আর সেই ‘অপরাধেই’ মায়ের হাতে খুন হতে হল তাকে।

Advertisement

বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পূর্ব দিল্লির গাজীপুরে।

পুলিশ সূত্র খবর, বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয়, তাই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের গলার নলি কেটে খুন করে ওই মহিলা। এই ঘটনায় ওই মহিলা ও তার প্রেমিক সুধীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ষাটের পরেও পাঁচ বছর চাকরি রেলে

প্রতিবেশীরা জনান, ওই মহিলার তিন সন্তান। দুই ছেলে, এক মেয়ে। স্বামী ঠেলাগাড়ি চালান। অনেক দিন ধরেই সুধীরের সঙ্গে ওই মহিলার সম্পর্ক ছিল। সুধীর পাশের পাড়াতেই থাকে। প্রায় দিনই ওই মহিলার বাড়িতে তাঁকে দেখা যেত।

আরও পড়ুন: পকসোর পরিধি শুধু প্রত্যক্ষ নির্যাতন নয়

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন রাতে মহিলার স্বামী মদ্যপান করতে কাছেই একটি দোকানে গিয়েছিলেন। বাড়িতে দুই ছেলেকে নিয়ে টিভি দেখছিল মহিলা। সেই সময় বাড়িতে আসে সুধীর। তাঁদের দু’জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পায় মেয়েটি। তার পরই তাকে খুন করে দু’জনে মিলে। সুধীর এর পরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না দাবি করে পড়শিদের কাছে বিষয়টি জানান মহিলা। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজিও শুরু করেন। পুলিশকেও ফোন করা হয়। পুলিশ এসে খোঁজাখুঁজি করতেই পাশের বাড়ির ছাদ থেকে মেয়েটির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।

এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “তদন্তের প্রথম দিকে খুব নির্লিপ্ত ছিল মেয়েটির মা। তদন্ত যত এগিয়েছে মহিলার উপর সন্দেহ জোরাল হয়েছে। প্রতিবেশীরাও সুধীরের সঙ্গে মহিলার সম্পর্কের কথা জানান। জেরায় অবশেষে দু’জনেই খুনের কথা স্বীকার করে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন