প্রতীকী ছবি।
বিমান তখন ইরানের বায়ুসীমায়। গন্তব্য মুম্বইয়ে পৌঁছতে পৌনে তিন ঘণ্টা বাকি। হঠাৎ ককপিট থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এলেন মহিলা সহ-চালক। ফোঁপাতে ফোঁপাতে বিমানসেবিকাদের জানালেন, চালকের সঙ্গে তাঁর ঝ়গড়া হয়েছে। চালক চড় মেরেছেন তাঁকে।
এখানেই নাটকের শেষ নয়। কয়েক মিনিট বাদেই ইন্টারকমে চালকের নির্দেশ এল, কো-পাইলটকে ককপিটে ফিরতে হবে। ‘‘পারব না,’’ সাফ জানিয়ে দিলেন মহিলা। তখনও তিনি ফোঁপাচ্ছেন। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে তাঁকে বোঝান বিমানসেবিকারা। তার পরেই ককপিটে ফেরেন চালিকা।
নাটকের এখানেও শেষ নয়! কিছু ক্ষণ পরে ফের ককপিট থেকে বেরিয়ে এলেন মহিলা। জানালেন, এই চালকের সঙ্গে কিছুতেই সহযোগিতা করবেন না তিনি। কিছু ক্ষণ পরে ককপিট থেকে বেরিয়ে এলেন খোদ চালক। দু’টি চালকের আসনই তখন শূন্য! সহ-চালিকাকে বললেন, এত বড় বিমান চালানো তাঁর একার পক্ষে সম্ভব নয়। আর এক প্রস্ত অনুরোধ-উপরোধের পালা। কী ভাবে গন্তব্যে পৌঁছবেন, সেই দুশ্চিন্তায় তখন কাঁপছেন বিমানসেবিকারা। একটু পরে অবশ্য ককপিটে ফেরেন দু’জনেই। ৩২৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন বিমানকর্মী নিয়ে মুম্বইয়ে নিরাপদে অবতরণ করে উড়ান।
ঘটনাটি নতুন বছরের প্রথম দিনের। ঘটনাস্থল, লন্ডন থেকে মুম্বইগামী জেটের উড়ান ৯ডব্লিউ১১৯। জেট এয়ারওয়েজের তরফে আজ এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘সে দিন দুই চালকের মধ্যে কিছু মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে তাঁরা তাড়াতাড়িই মিটমাট করে নেন। জেটের কর্মীদের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তাই শেষ কথা।’’ যদিও দু’জন চালককের লাইসেন্সই বাজেয়াপ্ত করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)।