Chennai High court

চেন্নাই হাই কোর্টে মহিলা বিচারপতির নাম সুপারিশ নিয়ে ক্ষোভ, সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীরা

আইনজীবীদের আভিযোগ, গৌরীর অতীতে করা মন্তব্য দেশের সংখ্যালঘুদের আঘাত করেছিল। বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক গৌরী বিচারপতি নিযুক্ত হলে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা খর্ব হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৯
Share:

গৌরীকে নিয়োগের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন চেন্নাইয়ের এক দল আইনজীবী। — ফাইল ছবি।

মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে লেক্ষমানা চন্দ্র ভিক্টোরিয়া গৌরীর নাম সুপারিশ করেছে কলেজিয়াম। মাদ্রাজ হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে গৌরীর নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। তার পরেও গৌরীকে নিয়োগের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন চেন্নাইয়ের এক দল আইনজীবী। তাঁদের অভিযোগ, গৌরীর অতীতে করা মন্তব্য দেশের সংখ্যালঘুদের আঘাত করেছিল। বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক গৌরী বিচারপতি নিযুক্ত হলে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা খর্ব হবে। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় মামলাটি শুনতে সম্মত হয়েছেন। শুক্রবার মামলাটির শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisement

গৌরীকে বিচারপতি হিসাবে নিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়ার পর টুইটারে পোস্ট দেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি লেখেন, ‘‘ভারতীয় সংবিধান মেনে আইনজীবী এবং বিচারবিভাগীয় আধিকারিকদের এলাহাবাদ হাই কোর্ট, কর্নাটক হাই কোর্ট, মাদ্রাজ হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন নিযুক্তদের শুভেচ্ছা জানাই।’’ বিচারপতিদের নিয়োগ করে কলেজিয়াম। সেই কলেজিয়ামে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচাপতি সঞ্জয় কিষাণ কল, বিচারপতি কেএম জোসেফ। গত ১৭ জানুয়ারি তাঁরা মাদ্রাজ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে গৌরী এবং আরও চার জনের নাম প্রস্তাব করেন।

এ বার অতিরিক্ত বিচারপতি পদে গৌরীর নাম সুপারিশ করার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামকে চিঠি দিলেন চেন্নাই হাই কোর্টের বার কাউন্সিলের কয়েক জন সদস্য। তাতে লেখা হয়েছে, গৌরী অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হলে বিচার বিভাগের ‘স্বাধীনতা খর্ব’ হবে। কেন এই অভিযোগ তাঁরা করছেন, তা বোঝাতে গৌরীর দু’টি সাক্ষাৎকারের ইউটিউব লিঙ্কও চিঠির সঙ্গে পাঠানো হয়েছে। ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের একটি বইয়ে গৌরীর একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। ‘খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরকরণ সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে’ শীর্ষক সেই লেখাও চিঠির সঙ্গে পাঠিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন