দিল্লিতে ধর্ষণের পরে পাঁচতলা থেকে ধাক্কা

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত রোহিত স্বীকার করেছেন, মত্ত অবস্থায় নির্মীয়মাণ ওই বহুতলের পাঁচতলায় নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন এবং ধাক্কা মেরে নীচে ফেলে দেন। রোহিতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৭ ০৪:০৬
Share:

প্রতীকী চিত্র।

রাজধানীতে ফিরে এল নির্ভয়া কাণ্ডের স্মৃতি।

Advertisement

এ বার কুড়ি বছরের এক যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পরে নিগৃহীতাকে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের পাঁচতলা থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থল দিল্লির বেগমপুর এলাকা। অভিযুক্ত রোহিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জখম নিগৃহীতা রোহিণী এলাকার বিএসএ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বেগমপুরের ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের। পুলিশ সূত্রে খবর, নিগৃহীতা তরুণী দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলের কর্মী। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এবং রোহিত আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। বন্ধুদের রোহিত বলেন, তিনি তাঁর বাবার গাড়িতে করে প্রত্যেককে বাড়িতে নামিয়ে দেবেন। এর পরে রোহিতরা একটি অটো নিয়ে বেগমপুর এলাকায় আসেন। দুই বন্ধুকে অটোতে অপেক্ষা করতে বলে তরুণীকে নিয়ে কাছের একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে যান। বন্ধুদের তিনি জানান, ওই বহুতলের নীচেই তাঁর বাবার গাড়িটি দাঁড় করানো রয়েছে। অন্য দুই বন্ধু রাস্তায় অপেক্ষা করতে থাকেন। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে ওই দুই বন্ধু বহুতলের উপর থেকে কিছু একটা পড়ার শব্দ পান। সেই সঙ্গে তরুণীর চিৎকার। স্থানীয় বাসিন্দারাও পুলিশকে খবর দেন নির্মীয়মান বহুতলের পাঁচতলা থেকে একটি মেয়ে নীচে পড়ে গিয়েছে। তাঁর জামাকাপড় ছেঁড়া। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিগৃহীতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর বয়ানের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত রোহিত স্বীকার করেছেন, মত্ত অবস্থায় নির্মীয়মাণ ওই বহুতলের পাঁচতলায় নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন এবং ধাক্কা মেরে নীচে ফেলে দেন। রোহিতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

নির্ভয়া কাণ্ডের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। কিন্তু তার পরেও রাজধানীতে মহিলাদের উপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। কখনও ধর্ষণের পরে চলন্ত গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলা হয়েছে তরুণীকে, কখনও রেস্তোরাঁর বাইরে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নাগাল্যান্ডের তরুণী।

সম্প্রতি রাতের চণ্ডীগড়ে আইএএস অফিসার বীরেন্দ্র কুণ্ডূর মেয়ে বর্ণিকাকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ধাওয়া করা, উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে হরিয়ানা বিজেপির সভাপতি সুভাষ বরালার ছেলে বিকাশ ও তার বন্ধু আশিস কুমারের বিরুদ্ধে। দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কিন্তু তাৎপর্যপূণ ভাবে এই ঘটনার পরেই বর্ণিকা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ভাগ্য ভাল ধর্ষিতা বা খুন হয়ে যেতে হয়নি। অর্থাৎ নির্ভয়া কাণ্ডের পরেও দেশ জুড়ে মেয়েদের উপর নিগ্রহে লাগাম টানা যায়নি। দিল্লির বেগমপুরের ঘটনা আরও এক বার সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। সেই সঙ্গে আরও এক বার প্রশ্ন তুলে দিল রাজধানীতে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন