আবাসনের নীচে স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পেলেন স্বামী। —প্রতীকী চিত্র।
১১ বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে ১৪ তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিলেন ৩৭ বছরের এক মহিলা। ঘটনাস্থলেই অবস্থায় মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডায়। মৃতার ঘর থেকে চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, সেটি একটি সুইসাইড নোট।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার স্বামী পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। বাবা-মা এবং ১১ বছরের ছেলেকে নিয়ে পরিবার। গ্রেটার নয়ডার একটি পরিচিত আবাসনে তাঁদের বাস। স্বামীর দাবি, রাতে তিনি অন্য ঘরে ছিলেন। ছেলে এবং স্ত্রী ছিলেন অন্য ঘরে। হঠাৎ আর্তনাদ শুনে তিনি যান। আবাসনের নীচ থেকে উদ্ধার হয় স্ত্রী-পুত্রের রক্তাক্ত দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন মহিলা। চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে অত্যধিক মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। এর মধ্যে ঘর থেকে একটি চিরুকুট উদ্ধার হয়েছে। তাতে স্বামীকে উদ্দেশ্য করে মহিলা লিখেছেন, ‘‘আমরা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি... সরি! আমরা আর কাউকে বিরক্ত করতে চাই না। আমাদের জন্য তোমার জীবনটা নষ্ট হয়ে যাক, চাই না। তাই এই সিদ্ধান্ত। আমাদের পরিণতির জন্য কেউ দায়ী নয়।’’
প্রতিবেশীদের দাবি, ছেলেটিরও কোনও অসুখ ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে সে স্কুলে যায়নি। বাবা বলতেন, প্রচুর ওষুধ খেতে হয় ছেলেকে। স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন যুবক। এখন এই জোড়া মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।