Flood

হিমাচল-পঞ্জাবের ত্রাণে প্রথম সারিতে মহিলা অফিসারেরা

হিমাচলের প্রথম মহিলা আইপিএস ১৯৯৬ ব্যাচের অফিসার সতবন্ত অটওয়াল ত্রিবেদী। সাম্প্রতিক বন্যার মতো বন্যা হিমাচলের ইতিহাসে নেই। তার মোকাবিলায় পুলিশের ডিজি হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অমৃতসর ও শিমলা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৬:৩২
Share:

বন্যায় বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। ছবি: পিটিআই।

সতবন্ত অটওয়াল ত্রিবেদী। আস্থা মোদী ও মণদীপ কউর। সাক্ষী বর্মা ও সৌম্যা শাম্বশিভন। সাক্ষী সাহনি। উত্তর ভারতের প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় উদ্ধারকার্যে প্রথম সারিতে রয়েছেন মহিলা অফিসারেরা।

Advertisement

হিমাচলের প্রথম মহিলা আইপিএস ১৯৯৬ ব্যাচের অফিসার সতবন্ত অটওয়াল ত্রিবেদী। সাম্প্রতিক বন্যার মতো বন্যা হিমাচলের ইতিহাসে নেই। তার মোকাবিলায় পুলিশের ডিজি হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পুরুষ ও নারী সমান পরিশ্রম করেন। কিন্তু নারীরা এগিয়ে। কারণ আমরা মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের মেলবন্ধন ঘটিয়ে কাজ করি। আমাদের চার জন পুলিশ সুপার মহিলা। এমনকি আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপারও মহিলা। তিনিও বন্যা ত্রাণে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। তাঁরা মাঝ রাতেও আমাকে ফোন করতে দু’বার ভাবেন না।’’

হরিয়ানার ফতেহবাদ জেলার ৪০ শতাংশ এলাকা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার মহিলা। জেলাশাসক আস্থা মোদীর কথায়, ‘‘মহিলা অফিসার হিসেবে আমরা একসঙ্গে কাজ করি। গ্রামে যাই। ঘাগ্গর নদীর জলস্তর বাড়ার পর থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষাই আমাদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে আমরা অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও বয়স্কদের নিরাপদ এলাকায় সরতে বলেছিলাম। সৌভাগ্যবশত গ্রামগুলি উঁচু এলাকায়। কিন্তু খেতে ও মাঠে ৪-৫ ফুট জল জমে রয়েছে। ত্রাণের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আমরা রোজ এলাকা পরিদর্শন করছি।’’ কুলু ও মান্ডিতে বন্যা ত্রাণে নেতৃত্বের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন আরও দুই মহিলা আইপিএস, সাক্ষী বর্মা ও সৌম্যা শাম্বশিভন।

Advertisement

পঞ্জাবের পাটিয়ালায় বন্যা ত্রাণে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন জেলাশাসক সাক্ষী সাহনি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ‘ভয়েস মেসেজ’ পাঠিয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি। পরে রাতে ত্রাণকার্যে নিযুক্ত দলগুলির সঙ্গে রাতে ঘটনাস্থলে নিয়মিত হাজির থাকছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমে চিটকারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উদ্ধার করা হয়। রাত সাড়ে তিনটে পর্যন্ত কাজ করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পড়ুয়াকে উদ্ধার করি আমরা। সকাল সাতটা নাগাদ পাটিয়ালার আরবান এস্টেট এলাকায় পৌঁছলাম। কিন্তু জলস্তর এত তাড়াতাড়ি বাড়বে তা আমরা ভাবতে পারিনি।’’ সেখানে উদ্ধারকার্যে ট্র্যাক্টর ও ট্রলি ব্যবহার করা হয়।

সাক্ষীর কথায়, ‘‘দেখুন আমি আমার কাজ করছি। তার সঙ্গে লিঙ্গের কোনও সম্পর্ক নেই। আগে খারাপ বন্যা পরিস্থিতি দেখিনি। আমি চেষ্টা করেছি যাতে বাসিন্দারা আমার কাছ থেকে তথ্য পান। চেষ্টা করেছি তাঁদের আতঙ্ক দূর করারও। সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী আমাদের সাহায্য করেছে। আমাদের ট্র্যাক্টর-ট্রলি অনেক জায়গায় পৌঁছতে পারেনি। তখন সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নৌকার মাধ্যমে উদ্ধারকার্য চালিয়েছে।’’ পাটিয়ালায় ১৪ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাক্ষী। তাঁর কথায়, ‘‘কাজ এখনও বাকি আছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন