মাতৃ আরধনার সঙ্গে সঙ্গেই “বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও” অভিযান। পুজোর উৎসবে মেতে ওঠার পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব মন্ডপ তৈরি।ফরিদাবাদের বিভিন্ন পুজো কমিটি এ বার এই দ্বৈত পথেই হাঁটছে।
ফরিদাবাদ কালিবাড়ির দুর্গাপুজো এ বার পা দিল তিরিশ বছরে। তাই, ওই পুজোয় প্রতিমার উচ্চতা ২১ফুট।বাঁশ আর মাটি দিয়ে পরিবেশ বান্ধব মূর্তি বানানো হয়েছে। কলকাতা থেকে বিশেষ ধরনের মাটি আনানো হয়েছে মূর্তি গড়ার জন্য।কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ধাঁচে তৈরি হচ্ছে মন্ডপ। কলকাতার কারিগররা দিন-রাত মন্ডপসজ্জার কাজে ব্যস্ত।আনন্দমেলা দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু।থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।কলকাতার ধুনুচি নাচের আসরও বসবে এখানে। প্রধান আকর্ষন অবশ্য মণিপুরি শিল্পীদের নৃত্য।
“আমাদের থিম বেটি পড়াও, বে়টি বাঁচাও। এই থিমের মাধ্যমেই মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করব। প্রতিদিন প্রায় তিন হাজারের মতো দর্শনার্থীর ভিড় হয় এখানে। ফলে বার্তাটা অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা করছি”, জানালেন কালিবাড়ির পুরোহিত তরুণ ভট্টাচার্য্য। পুজোর পাঁচ দিনই নারীশক্তি ও লিঙ্গ সচেতনতা নিয়ে একটি করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে মন্ডপে।
ফরিদাবাদের ‘অশোক এনক্লেভে’র দুর্গা মহোৎসব কমিটির এবারের থিম ‘গো গ্রিন’। গ্রামীণ পরিবেশের আদলে তৈরি মন্ডপ বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বাঁশ, খড়, প্রাকৃতিক রং দিয়ে বানানো হচ্ছে মাতৃপ্রতিমা। কলকাতার শিল্পী পাঁচুগোপাল পালের নেতৃত্বে মুর্তি বানানোর কাজ শেষ পর্যায়ে।
মহিলাদের নিরাপত্তা ও সমানাধিকারই এ বারের ‘থিম’ ফরিদাবাদের সেক্টর -৩৪ এর পুজো কমিটির। এখানে দুর্গার ন’টি রূপ। ‘সপ্তসতী’ পাঠের সঙ্গেই মহিলাদের নিরাপত্তা ও সমানাধিকারের দিকটি তুলে ধরতে চান উদ্যোক্তারা।