সরি বেটি, মাফ করনা, ফোনে মেয়েকে বলেছিল ইয়াকুব

‘‘সরি বেটি। ম্যায় কভি অচ্ছা পাপা নহি বন পায়া।’’ ফাঁসির আগের সন্ধ্যায় শুধু এইটুকুই তার মেয়েকে বলতে পেরেছিল ইয়াকুব। ৩১ জুলাই, শুক্রবার তার মেয়ের জন্মদিন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৫ ১৫:৩৫
Share:

নাগপুর জেলের বাইরে কড়া নিরাপত্তা। ছবি: পিটিআই।

‘‘সরি বেটি। ম্যায় কভি অচ্ছা পাপা নহি বন পায়া।’’ ফাঁসির আগের সন্ধ্যায় শুধু এইটুকুই তার মেয়েকে বলতে পেরেছিল ইয়াকুব। ৩১ জুলাই, শুক্রবার তার মেয়ের জন্মদিন। তার আগে মেয়েকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানাতে চেয়েছিল ইয়াকুব। আগাম শুভেচ্ছাই। কারণ সে জানত মেয়েকে শুভেচ্ছা জানানো হবে না তার।

Advertisement

নাগপুর জেল সূত্রে খবর, ফাঁসির আগের দিন মেয়ের সঙ্গে কথা বলাই ছিল ইয়াকুবের শেষ ইচ্ছা। রাখাও হয়েছিল তা। বুধবার সন্ধ্যায় ফোনে ইয়াকুব কথা বলে মেয়ের সঙ্গে। এক জন ভাল বাবা না হয়ে ওঠার জন্য মৃত্যুর আগে মেয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিল ইয়াকুব। বলেছিল, ‘‘তোমাকে কোনও দিন ভাল মুহূর্ত, মনে রাখার মতো মুহূর্ত উপহার দিতে পারিনি। কত দিন হয়ে গেল জন্মদিনেও তোমার সঙ্গে থাকতে পারি না। আমাকে ক্ষমা কোরো।’’

জেলের একটি সূত্রের খবর, আইনি পথে না হলেও ওই রাতেই সাদা কাগজে নিজের সম্পত্তির উইল করে যায় ইয়াকুব। সম্পত্তির অংশীদার হিসাবে তাতে উল্লেখ করে স্ত্রী রাহিন, মেয়ে জুবেদা এবং ভাই সুলেমানের নাম। মামলা চলাকালীন যাবতীয় আইনি খরচ করেছিলেন সুলেমানই। তবে সোমবার এবং মঙ্গলবার রাতে কয়েক মুহূর্তের জন্যও ঘুমাতে চায়নি সে। বারবারই বলছিল, ‘‘চিরতরে ঘুমানোর আগের সময়টা জেগেই থাকতে চাই।’’ বুধবার সারাদিনেও প্রায় কিছুই খায়নি ইয়াকুব। রাতে অন্য কয়েদিদের সঙ্গে দেখা করতে চায়। কিন্তু রাত ২টো নাগাদ ঘুমিয়ে পড়ে। কয়েকবার ডাকাডাকি করলেও তার ঘুম ভাঙেনি। ভোরে স্নান করার আগে চুল,দাঁড়ি কাটবে কি না জানতে চায় জেল কর্মীরা। তাতেও না বলে দেয় ইয়াকুব। তবে ফাঁসির সময়েও ইয়াকুবের চোখে অনুতাপের কোনও ছায়া ছিল না বলে জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন