দশ মাস আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সময় চেয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা। বিষয় ছিল কাশ্মীরের সমস্যা। কিন্তু আজ পর্যন্ত অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার ওই মন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দেননি মোদী। দেশের আর্থিক হাল নিয়েও নিজের উদ্বেগের কথা প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাইছিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা। কিন্তু তা প্রকাশের কোনও মঞ্চ না পেয়ে কলম ধরেন তিনি। তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে।
এ বার যদিও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেতে পারেন যশবন্ত। ১৪ অক্টোবর পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা মোদীর। সেখানে থাকবেন নীতীশ কুমারও। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন যশবন্তও। পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাসবিহারী সিংহ জানিয়েছেন, প্রাক্তন ছাত্র এবং শিক্ষক হিসেবে যশবন্তকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে তিনি হাজির থাকবেন কিনা, তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বুলেট ট্রেনে কপালে ভাঁজ বিজেপির
যশবন্ত বলেছেন, ‘‘সময় না দিয়ে উনি (মোদী) স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, আমাকে তাঁর প্রয়োজন নেই। দেশের অর্থনীতির হালের কথা দল বা সরকারের মঞ্চে বলার সুযোগ নেই। কারণ এখন আমি সাংসদও নই। তাই কলম ধরেছি।’’ গত বুধবার নয়াদিল্লির একটি সংবাদপত্রে কেন্দ্রের আর্থিক নীতি ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সমালোচনা করেন যশবন্ত। পর দিনই যশবন্তকে আক্রমণ করেন জেটলি। দুই নেতার আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে বলে মনে করছিল বিরোধী শিবির। সম্ভবত তা আঁচ করে রাজনীতি ও আর্থিক প্রসঙ্গকে ব্যক্তিগত দিকে ঘুরিয়ে দেন জেটলি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তথা আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদব, যশবন্তের বক্তব্যের সমর্থক তথা পটনার বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাও সে দিনের অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।