Bengaluru

বেঙ্গালুরু সংঘর্ষে ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ, সিদ্ধান্ত ইয়েদুরাপ্পা সরকারের

সংঘর্ষের জেরে যে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাও বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২০ ১৯:৩৯
Share:

এ ভাবেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল গাড়ি। —ফাইল চিত্র

বেঙ্গালুরুতে সংঘর্ষের ঘটনায় আনলফুল অ্যাকটিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট (ইউএপিএ)। পাশাপাশি ‘গুন্ডা আইন’ও কার্যকরী করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। আজ সোমবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই-এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গঠন করা হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি)। অন্য দিকে এই সংঘর্ষের জেরে যে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাও বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার। যদিও কংগ্রেসের দাবি, পুলিশের ব্যর্থতাতেই এত বড় ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। কংগ্রেস বিধায়ক আর অখণ্ড শ্রীনিবাসের এক আত্মীয় একটি উস্কানিমূলক পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করেন। তার জেরে ডি জে হাল্লি এলাকায় শ্রীনিবাসের বাড়ির সামনে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিধায়কের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সংঘর্ষ অন্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বিক্ষোভ রুখতে গেলে তাঁদের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হয় দফায় দফায়। গোটা ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন জনের। ৬০ জন পুলিশকর্মী আহত হন। এ ছাড়া প্রচুর সরকারি ও বেসরকারি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনার পর থেকেই সংঘর্ষপ্রবণ এলাকাগুলিতে কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে পুলিশ-প্রশাসন। তার মেয়াদ শেষ হয়েছে রবিবার। আজ সোমবার নিয়ন্ত্রণ বাড়িয় দেওয়া হয়েছে ১৮ অগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু এখনও শহরের ওই সব এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আজ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বোম্মাইয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইয়েদুরাপ্পা। ধৃত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইন প্রয়োগের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের পাশাপাশি গুন্ডা আইন বা গুন্ডা দমন আইন প্রয়োগের কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সংঘর্ষের জেরে যে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে, তা বিক্ষোভকারীদের থেকে আদায় করতে এক জন ‘ক্লেম কমিশনার’ নিয়োগের জন্য সরকার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে বলেও ওই বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘জঙ্গলরাজ’-এর চূড়ায় যোগী রাজ্য, পরপর ধর্ষণ-খুন নিয়ে তোপ রাহুল-প্রিয়ঙ্কার

আরও পড়ুন: ‘পিএম কেয়ার্স’ এর তথ্য দিতে অস্বীকার, আরটিআই ফেরাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

বিধায়ক শ্রীনিবাসের অবশ্য অভিযোগ, পুলিশের ব্যর্থতার জন্যই সংঘর্ষ এত বড় আকার নিয়েছে। কারা তাঁর বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে, সেটাও তিনি পুলিশকে জানাবেন বলে এ দিন জানিয়েছেন শ্রীনিবাস। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কে তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়েছে, তা জানার জন্য আমাদের নিজস্ব সূত্র আছে। তদন্তে কোনও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ নেই।’’ পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব, ভুয়ো খবর ছড়ানো রুখতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মতো সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গেও সরকার বৈঠক করবে বলে জানিয়েছেন বোম্মাই। অন্য দিকে পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৬৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন