ফের শিরোনামে যোগী আদিত্যনাথের হিন্দু যুবা বাহিনী। এ বার মেরঠে এক যুগলকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে। বাহিনীর দাবি, ওই যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে তারা। কিন্তু বন্ধ ঘরে দুই প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ-তরুণীর আচরণে কোনও সংগঠন কেন হস্তক্ষেপ করবে, সেই প্রশ্ন অবশ্য উঠতে শুরু করেছে।
২০০১ সালে তাঁর তৈরি এই সংগঠনের থেকে ইদানীং দূরত্ব রাখতে শুরু করেছেন আদিত্যনাথও। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নীতি পুলিশের ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে হিন্দু যুবা বাহিনীকে। মেরঠের একটি ফ্ল্যাটে আজ হানা দেন সেই বাহিনীর কিছু সদস্য। দরজা খোলার পরই পুরুষ এবং মহিলাটিকে তাঁদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। পুরুষটি জানান, তিনি মুজফ্ফরনগরের বাসিন্দা।
গোটা ঘটনা ভিডিও তুলে রাখা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে পুলিশও। যদিও তাদের ভূমিকা ছিল কার্যত নীরব দর্শকের। পুরুষ ও মহিলাটি ভিন্ন ধর্মের বলে তাঁদের বেশি করে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু নগেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ নামে বাহিনীর এক সদস্য জানান, ওই যুগলকে তাঁরা আপত্তিকর অবস্থা দেখেছেন। এই শহরের প্রচুর ফ্ল্যাট এক জনের নামে কেনা থাকলেও অন্যেরা তা ভাড়া নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বলেও জানান তিনি। পুরো বিষয়টিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংবাদমাধ্যমের একাংশ। শেষমেশ ওই যুগলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বাহিনী। মহিলাটিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁর পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের মামলা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরপরই মেয়েদের শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পুলিশের ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’-কে বিশেষ সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদিত্যনাথ। কিন্তু সেই বাহিনী মেয়েদের রক্ষা করার থেকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিক যুগলদের বেশি করে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ ওঠে। নিরীহ যুগলরা যাতে হেনস্থার শিকার না হয়, তার জন্য ফের পুলিশকে নির্দেশ দিতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।