Operation Sindoor

‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ছোড়া হয়েছিল ব্রহ্মস! দাবি করলেন যোগী, সেনা এখনও নীরব

উত্তরপ্রদেশের লখনউয়েও ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নতুন কারখানার উদ্বোধন হয় রবিবার। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বড় দাবি করেন যোগী আদিত্যনাথ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৫ ১৪:৫৮
Share:

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রত্যাঘাত হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে এখনও। রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ছোড়া হয় ব্রহ্মস! তবে সত্যিই কি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল ভারতীয় সেনা? রয়েছে প্রশ্ন। যদিও এ ব্যাপারে খোলসা করেনি সেনা।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের লখনউয়েও ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নতুন কারখানার উদ্বোধন হয় রবিবার। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বড় দাবি করেন যোগী। তিনি বলেন, ‘‘ব্রহ্মসের শক্তি কতটা, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ই স্পষ্ট হয়েছে। যদি কেউ সেটা বুঝতে না পারেন, তবে অবশ্যই এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রভাব সম্পর্কে পাকিস্তানকে জিজ্ঞাসা করতে পারে।’’

সন্ত্রাসবাদকে ‘কুকুরের লেজ’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন যোগী। তাঁর দাবি, এটা কখনওই সোজা হয় না। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন যে ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপকে যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা না গেলে কখনওই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’’

Advertisement

গত ২২ এপ্রিল জম্মুর পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই জঙ্গিদমন নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করে ভারত। প্রত্যাঘাত হিসাবে গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। লক্ষ্য করা হয়েছিল মূলত জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) এবং লশকর-এ-ত্যায়বার (এলইটি) গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলি।

তবে সেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারত কোন কোন অস্ত্র দিয়ে আঘাত হেনেছিল, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি ভারতীয় সেনা। যদিও বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়, ভারত মূলত দুটি অস্ত্রই ব্যবহার করেছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ। স্ক্যাল্প ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র এবং হ্যামার প্রিসিশন-গাইডেড— রাফাল থেকে এই অস্ত্রই ছোড়ে সেনাবাহিনী। এই হামলায় যাতে সাধারণ নাগরিকের কোনও ক্ষতি না হয়, সেই দিকে জোর দিয়েছিল ভারত। অনেকের মতে, ভারতের এই দুই অস্ত্র ব্যবহার হল কৌশলগত পদক্ষেপেরই ফল! তবে কোথাও ব্রহ্মস ছোড়ার দাবি করা হয়নি। সেই আবহেই যোগীর দাবি নতুন করে জল্পনা উস্কে দিল।

অন্য দিকে, রাজস্থানের বিকানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্রের বুস্টার এবং নোজ ক্যাপ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর ছড়ায়। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে ক্ষেপণাস্ত্রের ওই উপাদানগুলি থেকে দাবি করা হয়, সেগুলি ব্রহ্মসেরই অ‌ংশ। এই দাবিও নতুন করে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ব্রহ্মসের ব্যবহারের জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement