Zydus Cadilla

COVID-19 Vaccine: বাজারে আসছে জ়াইডাসের ভ্যাকসিন

সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ডিএনএ নির্ভর ওই প্রতিষেধকটি আগামী মাসে দেশের বাজারে আসতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২১ ০৬:৪২
Share:

—ফাইল চিত্র।

জ়াইডাস ক্যাডিলা সংস্থার করোনা প্রতিষেধক জ়াইকোভ ডি শীঘ্রই ছাড়পত্র পেতে চলেছে। এই টিকাকে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছে প্রতিষেধক সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ডিএনএ নির্ভর ওই প্রতিষেধকটি আগামী মাসে দেশের বাজারে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১২-১৮ বছর বয়সিরা করোনা টিকা নিতে পারবে।

Advertisement

গত ১ জুলাই এ দেশে জরুরি ভিত্তিতে জ়াইকোভ ডি প্রয়োগের আবেদন জানিয়ে ছাড়পত্র চেয়েছিল জ়াইডাস ক্যাডিলা। ভারতে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, স্পুটনিক-ভি, মডার্না— এই চারটি প্রতিষেধক জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) জ়াইকোভ ডি-কে ছাড়পত্র দিলে এটি দেশে পঞ্চম এবং দেশীয় ভাবে তৈরি দ্বিতীয় প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবসায়িক ব্যবহারের অনমুতি পাবে। গুজরাতের ওই ওষুধ সংস্থার তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রায় ২৮ হাজার ব্যক্তির উপরে জ়াইকোভ ডি প্রতিষেধকটি প্রয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১২-১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীরাও। সংস্থা জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল, সে সময়ে ওই প্রতিষেধকটি প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে কার্যকারিতার প্রশ্নে যথেষ্ট সফল এবং নিরাপদ।

জ়াইকোভ ডি ছাড়পত্র পেলে সে ক্ষেত্রে ১২-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণের বিষয়টি এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। তাছাড়া, ডিএনএ নির্ভর হওয়ায় ওই প্রযু্ক্তি অনেক বেশি নিরাপদ ও ভাইরাসের চরিত্র বদল বা মিউটেশন হওয়া নতুন স্ট্রেনকে রুখতেও কার্যকর। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই প্রতিষেধক নেওয়ার ফলে শরীরের নির্দিষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসে হওয়া মিউটেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রয়োজনীয় চরিত্র বদলে সক্ষম। তিন ডোজ়ের এই টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়ার ২৮ ও ৫৬ দিন পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ নিতে হয়। যদিও সংস্থা আগামী দিনে তিনটির পরবির্তে জ়াইকোভ ডি-কে দু’টি ডোজ়ের টিকায় পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।

Advertisement

সূত্রের মতে প্রতিষেধকের তৃতীয় দফার ফলাফল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। যে হেতু ভারতে টিকার অভাব রয়েছে, তাই ওই প্রতিষেধককে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ডিসিজিআই-এর কাছে সুপারিশ করেছে ওই কমিটি। বর্তমানে পর্যাপ্ত টিকার জোগানের অভাবে ভুগছে দেশ। তাই যত বেশি সম্ভব সংস্থাকে ছাড়পত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন