অসম চুক্তি পরবর্তী কালে, এ নিয়ে দ্বিতীয় বার রাজ্যে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ল। ভোটের হার দেখে সব দলই জয় নিয়ে আশাবাদী। তবে অন্য বারের চেয়ে বেশি ভোট পড়লেও, গুযাহাটিতে ভোট দানের হার কিছুটা কমই থাকল।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হিসেবে, এ বার তিনটি পর্যায় মিলিয়ে রাজ্যে ভোটদানের হার ৮০.০৮%। এর আগে ১৯৮৫ সালে অসম চুক্তির পরের লোকসভা নির্বাচনে ৮২.৩৬%ভোট পড়েছিল। তা ছাড়া, রাজ্যের লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে কখনও ভোটদানের হার ৮০%ছোঁয়নি। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তা ছিল ৬৯.৫৮%। এ বছর সব চেয়ে বেশি, ৮৮.৪৯% ভোট পড়েছে ধুবুরিতে। কমিশন জানিয়েছে, মহিলা ভোটারদের অংশ গ্রহণের নিরিখেও এ বারের ভোট উল্লেখযোগ্য। মহিলাদের মধ্যে ৭৯.৩৬% ভোট দিয়েছেন। বরপেটা ও তেজপুর কেন্দ্রে মহিলাদের ভোটদানের হার বেশি।
কমিশন সূত্রে খবর, গুয়াহাটি কেন্দ্রে বরাবরই ভোট কম পড়ে। এ বার ভোট পড়েছে ৭৮.৩৪%। ১৯৮৫ সালে গুয়াহাটিতে ৮২% ভোট পড়েছিল। ভোটার টানতে হরেক পরিকল্পনা ছিল কমিশন, প্রশাসনের। বিভিন্ন মোবাইল পরিষেবা সংস্থা ‘কলার টিউন’-এর আগে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানোর ব্যবস্থা করে। ভোটদান করে আঙুলে দাগ দেখালে রেস্তোরাঁয় ১০% ছাড়ের ‘অফার’ও ছিল। ভোট দিয়ে ছবি ‘মেল’ বা ‘হোয়াট্সঅ্যাপে’ পাঠালে বিভিন্ন স্থানীয় টিভি চ্যানেলে তা দেখানোর ব্যবস্থাও করা হয়। তবু, রাজধানীতে ভোটের হার কমই ছিল।
বিদেশের উৎসবে নাগা সঙ্গীতের তথ্যচিত্র। নাগা পাহাড়ে সঙ্গীতচর্চা নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘সংগস্ অফ দ্য ব্লু হিল্স’ পাঁচটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। তথ্যচিত্রটির নির্মাতা জাতীয় পুরস্কার-জয়ী চিত্র সমালোচক তথা পরিচালক উৎপল বরপুজারী। ৯৬ মিনিটের তথ্যচিত্রে উৎপলবাবু নাগাল্যান্ডের নিজস্ব সঙ্গীতের ঐতিহ্য এবং তার সঙ্গে পাশ্চাত্য সঙ্গীতের অভিযোজনকে তুলে ধরেছেন। সুইৎজারল্যান্ডের ‘ভিসন্স দু রিল’, সুইডেনের ‘গোথেনবার্গ চলচ্চিত্র উৎসব’, নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, পোল্যান্ডের ‘আইস অ্যান্ড লেন্সেস-এথনোগ্রাফিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ ও ওয়াশিংটনের ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক অ্যান্ড ইন্ডিপেণ্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ তথ্যচিত্রটি দেখানো হবে।