রোদ থেকে বাঁচতে কার্ডবোর্ডের টুকরোর নীচে আশ্রয় নিয়েছেন ভোটকর্মীরা। চলছে শেষ মুহূর্তে ভোটযন্ত্র পরীক্ষার কাজও। রবিবার অসমের তিনিসুকিয়া জেলায়। ছবি: রয়টার্স।
লোকসভার ভোট-যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত অসম এবং ত্রিপুরা। নয় দফার মধ্যে আগামিকাল, সোমবার এই দুই রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। আগামিকাল আবার জঙ্গি সংগঠন আলফা-র প্রতিষ্ঠা দিবসও। দু’দশকের মধ্যে এ বারই প্রথম আলফার প্রতিষ্ঠা দিবসে অসমের তেজপুর, কলিয়াবর, যোরহাট, ডিব্রুগড়, লখিমপুরে ভোট। ভোট ত্রিপুরা পশ্চিম কেন্দ্রেও।
তাদের প্রতিষ্ঠা দিবসে অসমে ভোট হলেও আলফা কোনও দল বা প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে মত প্রকাশ করেনি। ডাক দেয়নি ভোট বয়কটেরও। তবে, অশান্তি রুখতে সতর্ক থাকছে নিরাপত্তা বাহিনী। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, অসমে প্রথম পর্যায়ের ভোটে প্রার্থীর সংখ্যা ৫১ (তেজপুরে ৯, কলিয়াবরে ১৩, যোরহাটে ১০, ডিব্রুগড়ে ৬ ও লখিমপুরে ১৩)। সব কেন্দ্রে লড়ছে তৃণমূলও। ভোটদাতা ৬৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৩২ জন। বুথ থাকবে ৮৫৮৮টি। তার মধ্যে ১১৫টিকে ‘অতি স্পর্শকাতর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ভোট-পর্বের সরাসরি ছবির দিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নজর রাখবে কমিশন।
তিনিসুকিয়ার প্রত্যন্ত ভোটকেন্দ্রের দিকে রওনা
ভোটকর্মীদের। অসমে প্রথম পর্যায়ের ভোটের আগে।
রবিবার ডিব্রুগড়ে ডিব্রু নদীর তীরে উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।
ত্রিপুরায় প্রথম পর্যায়ের ভোটের আগে প্রস্তুতি।
রবিবার আগরতলার একটি স্কুলে।
ছবি বাপি রায়চৌধুরী।
অসমের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। লখিমপুরে রানি নরহ, ডিব্রুগড়ে পবন সিংহ ঘাটোয়ার। কলিয়াবরে কাকা দীপ গগৈয়ের আসনে প্রথম বার লড়তে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ছেলে গৌরব। তেজপুরে তিন বারের সাংসদ মণি সুব্বাকে টিকিট না-দিয়ে ভূপেন বরাকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। প্রতিবাদে সেখানেই নির্দল হিসেবে লড়তে নেমেছেন সুব্বা। ফলে এই কেন্দ্রে লড়াই জমে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ত্রিপুরা পশ্চিম কেন্দ্রে প্রার্থীর সংখ্যা ১৩। ভোটার ১২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৪ জন। বুথের সংখ্যা ১,৬০৫। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের শঙ্করপ্রসাদ দত্ত, তৃণমূলের রতন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের অরুণোদয় সাহা এবং বিজেপির সুধীন্দ্র দাশগুপ্ত। এর মধ্যেই প্রশাসন জানিয়েছে, যোরহাটে ভোটকেন্দ্রে পাঠানোর আগে সব দলের প্রতিনিধিদের সামনে একটি ইভিএম পরীক্ষার সময় দেখা যায়, সেটিতে কোনও বোতাম টিপলেই বিজেপি-র পক্ষে ভোট পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছে। তারা সব ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি ইভিএম পরীক্ষা করে দেখার আর্জি জানিয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার বিজয়েন্দ্র জানান, পুরো পরীক্ষা না-করে কোনও ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।