আবার জেলেই যাচ্ছেন চৌটালা

ফের জেলেই যেতে হচ্ছে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালাকে। অসুস্থতার দোহাই দিয়ে পাওয়া জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগে আজ দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে আগামিকাল জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রাম্ত দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে গত বছরের শুরুতে ১০ বছরের জেল হয় তাঁর। সম্প্রতি জামিনও পান তিনি। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়েই ভোটের প্রচারে নেমে পড়েন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের (আইএনএলডি) এই নেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৫২
Share:

ফের জেলেই যেতে হচ্ছে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালাকে। অসুস্থতার দোহাই দিয়ে পাওয়া জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগে আজ দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে আগামিকাল জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

শিক্ষক নিয়োগ সংক্রাম্ত দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে গত বছরের শুরুতে ১০ বছরের জেল হয় তাঁর। সম্প্রতি জামিনও পান তিনি। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়েই ভোটের প্রচারে নেমে পড়েন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের (আইএনএলডি) এই নেতা। আগামী সপ্তাহেই বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যে। কিন্তু ‘অসুস্থ’ শরীরেও চৌটালা কী ভাবে ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন, তা নিয়েই আজ প্রশ্ন তোলে আদালত। চৌটালাকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করে বিচারক বলেছেন, “উনি যদি ভোটের প্রচার করতে পারেন, দিব্যি ঘুরে বেড়াতে পারেন, তা হলে ওঁকে আত্মসমর্পণ করতেই হবে। যে রেহাই তিনি পেয়েছেন, তাতে উৎসব করার কোনও কারণ নেই।”

আজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে কংগ্রেস। সম্প্রতি হরিয়ানায় ভোট প্রচারে গিয়ে রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে হুডা সরকারের সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ ছিল, আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রবার্টের জমি চুক্তিতে সায় দিয়েছে হুডা সরকার। এ জন্য কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

কিন্তু পরে কমিশন খতিয়ে দেখে, আদর্শ আচরণবিধি প্রয়োগের বহু আগেই ওই ছাড়পত্র দিয়েছিল হরিয়ানা সরকার। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে কমিশন জানিয়ে দেয়। এর পরই এ বার মোদীর বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।

কেন্দ্রে বিরোধী দলের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকেও বিভ্রান্ত করেছেন। তা ছাড়া প্রচারে বেরিয়ে এক জন ব্যক্তি ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা কুৎসা করেছেন। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। তাই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যদিও কংগ্রেসের এই দাবির জবাব এখনও দেয়নি কমিশন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন