উপত্যকায় দুই গোষ্ঠীর মিছিল রুখল প্রশাসন

কয়েক জন মিছিল বের করেছিলেন ২৩ বছর আগে বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে। একই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘শৌর্য দিবস’ উদযাপনে মোটরসাইকেল মিছিল করার কথা জানিয়েছিলেন অন্য পক্ষ। পুলিশ কাউকেই অনুমতি দেয়নি। আজ এ নিয়ে জেলায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:২৩
Share:

কয়েক জন মিছিল বের করেছিলেন ২৩ বছর আগে বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে। একই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘শৌর্য দিবস’ উদযাপনে মোটরসাইকেল মিছিল করার কথা জানিয়েছিলেন অন্য পক্ষ। পুলিশ কাউকেই অনুমতি দেয়নি। আজ এ নিয়ে জেলায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরও দু’পক্ষই নিজেদের কর্মসূচিতে অনড় থাকলে, দু’টি মিছিলকেই বেআইনি ঘোষণা করে পুলিশ-প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয় তাতে সামিল থাকা লোকদের। এ দিন বিকেলে সবাইকে ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে বদরপুরে ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’ নামে একটি সংগঠন মিছিল বের করে। অনুমতি না থাকায় মিছিলে বাধা দেওয়া হয়। তা উপেক্ষা করে এগোতে থাকলে শ’চারেক জনতার সবাইকে গ্রেফতার করে থানায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনটিকে ‘শৌর্য দিবস’ হিসেবে পালন করে বজরং দল। এর অঙ্গ হিসেবে করিমগঞ্জ বের করা হয়েছিল মোটরসাইকেল মিছিল। সদর শহরেও মোটরসাইকেল মিছিলের কর্মসূচি ছিল বজরং দলের স্থানীয় শাখার। তাতে যোগ দিতে যান বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তর-পূর্ব কমিটির সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস। কিন্তু মিছিল শুরু হতেই পুলিশ সবাইকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

মৃণালবাবুর অভিযোগ, কংগ্রেস সরকারকে তুষ্ট করতেই জেলা পুলিশ তাঁদের মিছিল আটকে দিয়েছে। ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধাদান কার স্বার্থে— সেই প্রশ্ন তোলেন বজরং দলের স্থানীয় নেতা দেবপ্রিয় দেবরায়। তিনি বলেন, ‘‘তিন বছর থেকে এই দিনে মোটরসাইকেল মিছিল বের করা হচ্ছে। অনুমতি পেতে এত দিন কোনও অসুবিধা হয়নি। এ বার কোন কারণে অনুমতি দেওয়া হল না?’’

অনুমতি মেলেনি বজরং দলের শিলচরের মোটরসাইকেল মিছিলেরও। তাঁদের ঠেকাতে সকাল থেকে শহরের রাস্তায় রাস্তায় সিআরপি মোতায়েন করা হয়। মাঠে নামেন অতিরিক্ত জেলাশাসক এম কে দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষিণী শঙ্করন, ডেপুটি পুলিশ সুপার সুধাংশুকুমার দাস। কিন্তু কোনও বাধা মানতে রাজি হয়নি বজরং দল। বরং শান্তিরক্ষার আশ্বাস দিয়ে জানিগঞ্জ থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত মিছিল করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন