এমডি পাঠ্যক্রমের নতুন মেধা তালিকা চাইল ত্রিপুরা হাইকোর্ট

সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমডি পাঠ্যক্রমে ভর্তি প্রক্রিয়ায় ‘অনিয়ম’ নিয়ে আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল ত্রিপুরার স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতর। এ সংক্রান্ত দু’টি আবেদনের প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ, আগরতলা মেডিক্যাল কলেজের স্নাতকোত্তর পর্যায় তথা এমডি কোর্সে ভর্তির মেধা তালিকা নতুন করে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৩৬
Share:

সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমডি পাঠ্যক্রমে ভর্তি প্রক্রিয়ায় ‘অনিয়ম’ নিয়ে আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল ত্রিপুরার স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতর।

Advertisement

এ সংক্রান্ত দু’টি আবেদনের প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ, আগরতলা মেডিক্যাল কলেজের স্নাতকোত্তর পর্যায় তথা এমডি কোর্সে ভর্তির মেধা তালিকা নতুন করে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে।

সম্প্রতি রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমডি পাঠ্যক্রমে ভর্তির মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। তাতে ‘অনিয়ম’-এর অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন এমডি পাঠ্যক্রমে ভর্তি হতে ইচ্ছুক মৌসুমী সরকার এবং সুকান্ত সাহা নামে দু’জন চিকিৎসক। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দু’টি পৃথক রিট পিটিশন দাখিল করা হয়। তাঁদের আইনজীবী অরিজিৎ ভৌমিক জানান, ২৯ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতরকে নতুন মেধা তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ২ মে থেকে এমডি পাঠ্যক্রমের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

Advertisement

ত্রিপুরায় সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমডি পাঠ্যক্রমে ভর্তির দু’রকম ব্যবস্থা চালু রয়েছে। একটি ‘ওপেন কোটা’, অন্যটি ‘স্পনসর কোটা’। ‘স্পনসর কোটা’য় ভর্তির নিয়মাবলী বদলে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতর। সে সুযোগ নিয়ে দু’জন চিকিৎসক ভর্তি হন। অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মৌসুমী সরকার ও সুকান্ত সাহা ভর্তি হতে পারেননি। এরপরই তাঁরা হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করেন।

শুনানি হয় ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি এস সি দাসের ডিভিশন বেঞ্চে। আবেদনকারীদের আইনজীবী জানান, ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার পরে ওই পদ্ধতিতে কোনও পরিবর্তন করা যায় না। তার প্রেক্ষিতে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ভানুলাল সাহা বলেন, ‘‘কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে তা ঠিক করে নিতে হবে।’’ একই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, রাজ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব মেটাতে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতর কোনও কোনও সময় নিয়ম শিথিল করে থাকে। স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতরের অধিকর্তা বাসুদেব ভট্টাচার্য জানান, ভর্তি প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি থাকলে, উচ্চ আদালতে নির্দেশ মেনে তা ঠিক করে নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন