পুলিশি জুলুমের অভিযোগ তুলে ফের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন প্রাক্তন এক জঙ্গিনেতা। প্রকাশ্যেই তিনি ‘তোলাবাজ’ বলছেন ডিমা হাসাওয়ের পুলিশ সুপারকে! এ নিয়ে রাজ্যপালের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন।
শান্তির পথে ফিরে আসা জঙ্গিনেতার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন ওই পুলিশকর্তাও।
রাজ্যে সন্ত্রাস, তোলাবাজির জন্য এক সময় শিরোনামে ছিল জুয়েল গার্লোসার নেতৃত্বাধীন ব্ল্যাক উইডো (ডিএইচডি) জঙ্গি সংগঠন। শান্তি চুক্তি করে মূলস্রোতে ফেরেন জুয়েল। নির্বাচনে জিতে স্বশাসিত পরিষদের সদস্যও হন। সম্প্রতি জুয়েল অভিযোগ তুলেছেন, ডিমা হাসাও জেলার পুলিশ তাঁকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। মোটা টাকা তোলা চাইছে। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে জুয়েল জানিয়েছেন, এমন চলতে থাকলে ফের তিনি হাতে অস্ত্র তুলে নিতে পারেন। গুয়াহাটিতে এসে রাজ্যপাল, স্বরাষ্ট্র দফতর এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে লিখিত ভাবে নালিশ ঠুকেছেন জুয়েল।
আজ গুয়াহাটিতে ওই জঙ্গিনেতা বলেন, “বছর দুই আগে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মতো এখনও সরকার ডিমাসাদের দাবিপূরণ করেনি।” জুয়েলের বক্তব্য, “এই পরিস্থিতিতে আমার গোষ্ঠীর কয়েক জন সদস্য ফের জঙ্গলে ফিরে যেতে চায়। আমার সঙ্গে পুলিশ যে ব্যবহার করে চলেছে, তাতে প্রশাসনের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে।”
জুয়েলের দাবি, গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে ডিমা হাসাওয়ের এসপি তাঁকে এসএমএস করে হুমকি দিচ্ছেন। পুলিশকর্তা তাঁকে বলেছেন, তাঁর সম্পত্তির হিসেব পুলিশের কাছে জমা দিতে হবে। জুয়েল যে গাড়ি চড়েন, তা তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শুধু তা-ই নয়, প্রাক্তন ডিএইচডি জঙ্গি জামাং লাংথাসার খোঁজ খবরের জন্যও তাঁর উপরে চাপ দেওয়া হয়। জামাং-এর হদিস দিতে না-পারার জেরেই এসপি-র হুমকি চলছে। জুয়েলের অভিযোগ, ২৮ মে তিনি এনআইএ আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য গুয়াহাটি এলে, বিনা ওয়ারেন্টে পুলিশ তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। তিনি বলেন, “পরের দিন থানার ওসি আমাকে জানান, পুলিশের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে এসপিকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে।”