ইউপিএ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা ঠিক হয়েছিল না ভুল, তা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে সিপিএমে। কংগ্রেসের সঙ্গে ভবিষ্যতে সমঝোতার রাস্তাও সিপিএম খুলে রাখতে চাইছে। কিন্তু আজ সিপিআই কট্টর লাইন নিয়ে জানিয়ে দিল, ইউপিএ সরকারকে সমর্থন করাটাই ভুল হয়েছিল। তাতে বামপন্থীদের বিশ্বাসযোগ্যতাই নষ্ট হয়েছে। সেই কারণে ভবিষ্যতে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও রকম গাঁটছড়ার সম্ভাবনাও বন্ধ করে দিচ্ছে সিপিআই।
বিশাখাপত্তনমে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসের আগেই ২৫ থেকে ২৯ মার্চ পুদুচেরিতে সিপিআইয়ের পার্টি কংগ্রেস বসছে। সেই সম্মেলনের খসড়া রাজনৈতিক দলিল প্রকাশ করে আজ দলের সাধারণ সম্পাদক এস সুধাকর রেড্ডি বলেন, “সাম্প্রদায়িক শক্তিতে আটকানোর জন্য আমরা ইউপিএ সরকারকে সমর্থন করেছিলাম। ইউপিএ সরকারের কিছু জনমুখী কর্মসূচির পিছনে আমাদের কৃতিত্বও ছিল। কিন্তু কংগ্রেসের মতো বুর্জোয়া দলের সব রকম খারাপ কাজের দায় আমাদের নিতে হয়েছে।”
ইউপিএ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসের আগে নতুন করে প্রকাশ কারাট বনাম সীতারাম ইয়েচুরির মধ্যে তাত্ত্বিক লড়াই শুরু হয়েছে। পরমাণু চুক্তিকে কেন্দ্র করে, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সমর্থন প্রত্যাহার ভুল ছিল বলেই ইয়েচুরির যুক্তি। কারাট কংগ্রেসের জন্য দরজা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে চাইলেও ইয়েচুরির চাপে ভবিষ্যতে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে হাত মেলানোর দরজা খুলে রেখেই সিপিএমের রাজনৈতিক দলিল তৈরি হয়েছে। কিন্তু সিপিআই সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছে। সুধাকর রেড্ডি বলেন, “কংগ্রেস যদি নিজেদের উদার নীতি বিসর্জন দেয়, তা হলেই ওদের সঙ্গে যাওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। তা কখনওই হবে না।”
এ বি বর্ধনের বদলে সুধাকর রেড্ডি সাধারণ সম্পাদক পদে বসার পর থেকেই সিপিআই কট্টরপন্থী লাইন নেওয়া শুরু করে। প্রয়োজনে সিপিএমের উল্টো পথে হাঁটতেও দ্বিধা করেনি সিপিআই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সিপিএম প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিলেও সিপিআই সেই পথে হাঁটেনি। এখনও বাম দলগুলির বাইরে তথাকথিত তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির কথা ভাবতে রাজি নন সিপিআই নেতৃত্ব।