কাশ্মীরে ভোটের হার কম, হতাশ করল রাঁচি

ভোট বয়কটের ডাক, ঠান্ডা উপেক্ষা করে তৃতীয় দফাতেও বুথে লাইন দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের ভোটাররা। তবে গত দুই দফার চেয়ে ভোটের হার সামান্য কম। নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, আজ জম্মু-কাশ্মীরে ভোট পড়েছে ৫৮ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি কেন্দ্রে ভোটের হার কমিশনের পক্ষে হতাশাজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে ভোটের তৃতীয় দফা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ছিল প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর ও রাঁচি শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৫৬
Share:

ভোট বয়কটের ডাক, ঠান্ডা উপেক্ষা করে তৃতীয় দফাতেও বুথে লাইন দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের ভোটাররা। তবে গত দুই দফার চেয়ে ভোটের হার সামান্য কম। নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, আজ জম্মু-কাশ্মীরে ভোট পড়েছে ৫৮ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি কেন্দ্রে ভোটের হার কমিশনের পক্ষে হতাশাজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

গত কয়েক দিনে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে ভোটের তৃতীয় দফা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ছিল প্রশাসন। আজ ভোট শুরুর ঠিক আগে পুঞ্চ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় হামলা চালায় পাক সেনা। এই পরিস্থিতিতে ত্রাল, উরির মতো জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকায় মানুষ ভোট দেবেন কি না তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন অনেকেই। আগের দফার মতো ৭১ শতাংশ না হলেও আজ যা ভোট পড়েছে তাতে অনেকটাই স্বস্তিতে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন।

গত কাল শ্রীনগরে মোদীর সভার পরে জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে গিয়েছে বলে দাবি বিজেপির। তবে ঘরোয়া আলোচনায় বিজেপি নেতাদের দাবি, কাশ্মীর উপত্যকায় বিজেপির পক্ষে বিপুল ভোট পড়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বিপাকে পড়েছিল। তাই পাকিস্তানি মদতে জঙ্গি হানা ঘটানো হল। তাতে ভোটের হার কিছুটা হলেও কমেছে।

Advertisement

কিন্তু ন্যাশনাল কনফারেন্স বা পিডিপি-র মতো দলগুলি এ কথা মানতে রাজি নয়। ওই দলগুলির মতে, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জম্মুতে হিন্দু মেরুকরণের রাজনীতি করায় উপত্যকার মুসলিম সমাজ আতঙ্কিত। সেই নিরাপত্তাহীনতা থেকেই তাঁরা বিপুল সংখ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ বারামুলার সোপোরের মতো এলাকায় কট্টরপন্থী হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি ও তাঁর সহযোগীরা কিছুটা প্রভাব খাটাতে পেরেছেন। ত্রালের মতো এলাকায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কাও প্রভাব ফেলেছে। ফলে, কিছুটা কমেছে ভোটের হার।

নির্বাচন কমিশনের শত চেষ্টা সত্ত্বেও আজ রাঁচিতে ভোট পড়েছে মাত্র ৪৪ শতাংশ। ২০০৯ সালের তুলনায় তা চার শতাংশ বাড়লেও নির্বাচন কমিশনের কাছে তা হতাশার বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পি কে জাজোরিয়া। রাঁচির ভোটারদের ভোটদানের ধারাকে মাথায় রেখে নানা ভাবে ভোটদানের পক্ষে প্রচার চালিয়েছিল কমিশন। কিন্তু রাঁচি বিধানসভায় তাও কোনও কাজে এল না। হাটিয়া কেন্দ্রে অবশ্য পঞ্চান্ন শতাংশ ভোট পড়েছে। গিরিডির ধনওয়ার কেন্দ্রের কেন্দুয়াডিহিতে জঙ্গলের রাস্তায় ক্যান বোমা পুঁতে রেখেছিল মাওবাদীরা। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সেগুলি উদ্ধার করতে গেলে তাদের সঙ্গে জঙ্গিদের কয়েক দফায় গুলির লড়াই হয়। তবে তাতে কেউ হতাহত হননি বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন