করিনার আপত্তি থাকলে তিনি কোর্টে যেতে পারেন, কিন্তু তার জন্য নিজেদের কাজে অনুতপ্ত নয় বিশ্বহিন্দু পরিষদ। বিতর্কের সূত্রপাত একটি ছবি নিয়ে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহিলা শাখা করিনা কপূর খানের একটি ছবি বিকৃত করে ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে। ছবিটি ছাপা হয়েছে তাদের পত্রিকায়।
‘লাভ জিহাদ’ বলতে তারা মনে করে, হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক পাতিয়ে তাঁদের সঙ্গে বিয়ে করে মুসলিম ছেলেরা। তার পরে জোর করে স্ত্রীদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে। এটা মুসলিমদের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মনে করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই সূত্রে করিনার মুখের ছবি বেছে নেওয়া হয়েছে। ছবির এক দিকে করিনার মুখ বোরখায় ঢাকা। অন্য দিকের মুখে কপালে টিপ, সিঁথিতে সিঁদুর। ছবিটি টুইটারেও ছড়িয়ে পড়েছে।
জব উই মেট, ওমকারা, হিরোইন ইত্যাদি ছবির নায়িকা বছর তিনেক আগে বিয়ে করেছেন আর এক বলিউড তারকা সইফ আলি খানকে। তিনি ইসলামে ধর্মান্তরিত হননি। কিন্তু নিজের পদবির সঙ্গে ‘খান’ ব্যবহার করেন। যিনি করিনার ওই বিকৃত ছবি পত্রিকায় ছেপেছেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সেই রজনী ঠাকুর বলেছেন, “এখনকার যুবসমাজ করিনার মতো সেলিব্রিটিদের পছন্দ করে। কিন্তু এই তারকা বিয়ের সময়ে বলেছিলেন, ইসলামে দীক্ষিত হবেন না। নিজের পদবি রেখেই শুধু ‘খান’ যোগ করবেন তাতে। কিন্তু তাঁকে বিভিন্ন মুসলিম রীতি-আচার মেনে চলতে দেখা যাচ্ছে। ওঁর এই দ্বিচারিতা যুবসমাজকে প্রভাবিত করছে।”
করিনা অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে গত বছর অক্টোবরে একটি দৈনিকে ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে কলম ধরেছিলেন সইফ। তাঁর বক্তব্য ছিল, “আমার সঙ্গে যখন করিনার বিয়ে হয়, তখন প্রাণনাশের হুমকি দিত লোকজন। লাভ জিহাদ নিয়ে হাস্যকর সব মন্তব্য দেখতাম ইন্টারনেটে। আমরা যে ধর্মে বিশ্বাস করি, সেটাই অনুসরণ করে এসেছি। আমরা পরস্পরের অবস্থানকে সম্মানকে করি। আশা করি, আমাদের ছেলেমেয়েরাও তা-ই করবে।