পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট-গভর্নর বীরেন্দ্র কাটারিয়াকে সরিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, আপাতত পুদুচেরির দায়িত্ব সামলাবেন আন্দামান-নিকোবরের লেফটেন্যান্ট-গভর্নর অজয়কুমার সিংহ। এ দিনই ইস্তফা দিয়েছেন নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল ভক্কম পুরুষোত্তমনও।
কেন্দ্রে পালাবদলের পরে ইস্তফা দিয়েছেন ইউপিএ জমানায় নিযুক্ত বেশ কয়েক জন রাজ্যপাল। আজ সেই তালিকায় যোগ দিয়েছেন নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল। এ বার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিকে সরিয়ে দিল তারা। কাটারিয়া রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য ও পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রাক্তন সদস্য। গত বছরের জুলাই মাসে তাঁকে পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট-গভর্নরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আজ না হোক, নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল পদ থেকে সরে যেতেই হত ভক্কম পুরুষোত্তমনকে। তার আগেই আজ তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার আমার সঙ্গে আগাম কথা না বলে যে ভাবে আমাকে মিজোরাম থেকে নাগাল্যান্ডে বদলি করেছে তা নজিরবিহীন ঘটনা। রাজ্যপাল কেন্দ্রের আমলা নন। সেই কারণেই ইস্তফা দিয়েছি।”
কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার আসার পর বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল পদে আসীন বেশ কয়েক জনকে পরোক্ষে ইস্তফার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। ইউপিএ সরকার নিযুক্ত রাজ্যপালদের বেশ কয়েকজন ইঙ্গিত বুঝতে পেরে নিজেরাই ইস্তফা দিয়ে সরে গিয়েছেন। সেই সময়েই ইস্তফা দেন নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল অশ্বিনী কুমার। আবার অনেকে সরে যাননি। যাঁরা যাননি তাঁদের এ রাজ্যে, সে রাজ্যে বদলি করা শুরু হয়েছে। মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতের রাজ্যপাল কমলা বেনিওয়ালের সঙ্গে ‘মুখ্যমন্ত্রী মোদী’র সম্পর্ক যথেষ্ট তিক্তই ছিল। বেনিওয়াল ইস্তফা দেননি।
কেন্দ্র তাঁকে বদলি করেছে উত্তর-পূর্বের প্রত্যন্ত রাজ্য মিজোরামে।
আর মিজোরামের রাজ্যপাল পুরুষোত্তমনকে সরানো হয়েছে নাগাল্যান্ডে। ভক্কম পুরুষোত্তমন এখন ত্রিপুরার রাজ্যপালের অতিরিক্ত দায়িত্বেও ছিলেন।
৮৬ বছর বয়সী প্রবীণ রাজনীতিক পুরুষোত্তমণ এখন তিরুঅনন্তপুরমে। কেরলের প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা পুরুষোত্তমন কেরলে মন্ত্রী ছিলেন। ছিলেন কেরল বিধানসভার স্পিকার। দু’বারের সাংসদ পুরুষোত্তমন বলেন, “এনডিএ সরকার যে ভাবে রাজ্যপালের পদ নিয়ে রাজনীতি করছে তা নিন্দনীয়। এটি একটি সাংবিধানিক পদ। রাজ্যপালরা রাজনৈতিক জীবনে যে কোনও দলের সদস্য থাকতে পারেন। কিন্তু এই পদে আসার পরে তাঁরা নিরপেক্ষ। এনডিএ একের পর এক রাজ্যপালকে পদত্যাগ করিয়ে, বদলি করিয়ে মহান পদের অমর্যাদা করছে।” তবে তিনি জানান, তাঁর উপরে পদত্যাগের চাপ আসেনি। তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করে এ ভাবে হঠাৎ বদলি করার প্রতিবাদেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।