ঝাড়খণ্ডে শৈত্য প্রবাহে তিন দিনে মৃত ৬

শৈত্য প্রবাহ এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু শীতের কামড় বসেছে ঝাড়খণ্ডে। গত তিন দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঠান্ডায় ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে তিন ডিগ্রি কম রয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, গত কাল পলামুতে ঠান্ডায় সন্তোষ যাদব নামে বছর দশেকের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। পরশু দিন গুমলায় বলদেব কোরবা আর নারায়ণ বরাইক নামে দুই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাঁচি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৩৫
Share:

শৈত্য প্রবাহ এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু শীতের কামড় বসেছে ঝাড়খণ্ডে। গত তিন দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঠান্ডায় ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে তিন ডিগ্রি কম রয়েছে।

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, গত কাল পলামুতে ঠান্ডায় সন্তোষ যাদব নামে বছর দশেকের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। পরশু দিন গুমলায় বলদেব কোরবা আর নারায়ণ বরাইক নামে দুই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। তার আগেও ঠান্ডায় গুমলাতেই আরও এক বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন বলে জেলা সূত্রে খবর। তিন দিন আগে ধানবাদের গোবিন্দপুরে দুই মহিলা ঠান্ডার কারণে মারা যান।

বিহার ও ঝাড়খণ্ডের আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা আশিস সেন জানাচ্ছেন, গত তিন দিন ধরে ঝাড়খন্ডের তাপমাত্রা নেমে এসেছে সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, তাপমাত্রা আগামী ক’দিনের মধ্যে আরও নেমে ৪ ডিগ্রিতে পৌঁছবে। ম্যাকলাস্কিগঞ্জের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পলামুর ডালটনগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

Advertisement

প্রতি বছরেই ঝাড়খন্ডের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। সন্ধ্যের পর থেকেই হাড় কাঁপানো শীত নামে রাঁচি সহ অন্যান্য জেলায়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে সরকারের তরফ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়। কিন্তু এ বার বিধানসভা নির্বাচন থাকায় এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হয়নি। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। গুমলার ডেপুটি কমিশনার গৌরীশঙ্কর মিন্জ স্বীকার করেন, “ঠান্ডায় মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন চলার কারণে কম্বল বিতরণের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। ২৩ তারিখ ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেই কম্বল বিতরণ শুরু হয়ে যাবে। তবে ব্লক স্তরের আধিকারিকদের সতর্ক রাখা হয়েছে যাতে কোথাও কোনও ঘটনা হলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”

ঠান্ডায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়ছে স্কুল-পড়ুয়ারা। ঠান্ডায় স্কুলে যাওয়ার কারণে অনেকেই সর্দি-কাশি-জ্বরে ভুগছে বলে জানিয়েছে অভিভাবকদের সংগঠন। সংঘের সভাপতি অজয় রায় জানান, ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই স্কুলগুলিকে ছুটি ঘোষণা করার অনুরোধ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন