শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন উদ্যাপনে লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, নরেন্দ্র মোদী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ এবং অরুণ জেটলি। রবিবার সংসদ ভবনে। ছবি: পিটিআই।
সংসদ ভবনে পালিত হল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শীর্ষ মন্ত্রীরা সেন্ট্রাল হলে তাঁর ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। টুইটারে মোদী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে প্রেরণা হিসেবে তুলে ধরেন। তাঁর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে দেশবাসীর এগনো দরকার বলেই মন্তব্য করেছেন মোদী। পাশাপাশি, এ দিন কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১১৪তম জন্মদিন পালিত হয়। বিধানসভাতে তাঁর প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে ফের একবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা শাহনওয়াজ হোসেন। কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা দিতে এসেছিলেন শাহনওয়াজ। এ দিন তিনি মন্তব্য করেন, “আমি ইচ্ছে করলেও শ্রীনগরে একটি ফ্ল্যাট কিনতে পারব না। কিন্তু যে কোনও কাশ্মীরি রাজারহাটে বা দেশের যে কোনও জায়গায় জমি-বাড়ি কিনতে পারে। এই একপেশে নীতি দেশের ভাল-র চাইতে অনেক বেশি খারাপ করেছে। তাই, ৩৭০ ধারা বাতিল করা উচিত।”
শ্যামাপ্রসাদের জন্যই পশ্চিমবঙ্গ আজ ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়েছে বলে এ দিন দাবি করেন শাহনওয়াজ। তিনি বলেন, “দ্বি-জাতি তত্ত্ব মেনে নেহরু-জিন্না যখন দেশটাকে ভাগ করছিলেন, তখন এই বাংলাও পাকিস্তানে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় তা হতে পারেনি।” অনুষ্ঠানের অন্যতম বক্তা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি।” এ দিন হাওড়ার শিবপুরের মন্দিরতলায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় স্মারক সমিতির উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান হয়। ওই অনুষ্ঠানে শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুরহস্য উন্মোচন করার দাবি করেন স্মারক সমিতির হাওড়া জেলার নেতৃত্ব।