ডাকাতদের পরিচয় এবং তাদের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশের তথ্য ফাঁস করে দেওয়ায় এক গ্রামবাসীর পা কেটে ফেলল দুষ্কৃতীরা। করিমগঞ্জের পাথারকান্দি থানার নয়াডহর গ্রামের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে করিমগঞ্জ জুড়ে। পুলিশের এক এএসআই-এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। গুয়াহাটিতে রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
রাতে পাথারকান্দির নয়াডহর এলাকায় গাছ ফেলে ডাকাতি করত কিছু দুষ্কৃতী। ডাকাতদের চিনে ফেলেন এলাকারই জনৈক কামালউদ্দিন। ডাকাতি নিয়ে গ্রামে সভা হয়। সেখানে কামাল যাদের চিনতে পেরেছিল তাদের নাম বলে। বিপাকে পড়ে একই গ্রামের বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের এএসআই নুমানউদ্দিন ফোন করে কামালকে ডেকে পাঠায়। কামাল গেলে তাকে ধরে ওই দুষ্কৃতীরা। নয়াডহরের একটি বাঁধে নিয়ে গিয়ে সেখানেই তাঁর ডান পা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলে দেয় তারা। কামালকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ তাঁর কাটা পা-টিও কামালের বাবার হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে রাজ্য পুলিশ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও জেলা পুলিশ নীরব। এসপি বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা জানান, তাঁরা অন্য ঘটনা নিয়ে ব্যস্ত। পরে নুমানউদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।