ত্রিপুরায় ভোট প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জানাল কমিশন

লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের দু’টি আসনের জন্য ভোট-প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্তএমনই জানালেন ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আশুতোষ জিন্দল। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের তুলনায় এ বার রাজ্যে ভোটদাতার সংখ্যা বেড়েছে ১৪-১৫ শতাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৪ ০৪:২০
Share:

লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের দু’টি আসনের জন্য ভোট-প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্তএমনই জানালেন ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আশুতোষ জিন্দল। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের তুলনায় এ বার রাজ্যে ভোটদাতার সংখ্যা বেড়েছে ১৪-১৫ শতাংশ। যা জাতীয় গড়ের কাছাকাছি। এ বার রাজ্যে মোট ভোটদাতার সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৮৫ হাজার।

Advertisement

আশুতোষবাবু জানান, রাজ্যের দু’টি কেন্দ্রে মোট প্রার্থী ২৫। ২০০৯ সালে তা ছিল ১৯। মহিলা প্রার্থী রয়েছেন তিন জন। ৭ এবং ১২ এপ্রিল, যথাক্রমে পশ্চিম ত্রিপুরা এবং পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভোট গ্রহণ। ইভিএম যন্ত্রে প্রার্থীদের প্রতীক চিহ্নের পাশাপাশি ‘না-ভোট’ বোতামও থাকবে। কোনও ভোট দাতা কাউকে পছন্দ না-হলে, সে ক্ষেত্রে তিনি ‘না-ভোট’ দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। পোস্টাল ব্যালটেও সে সুযোগ থাকবে।

ত্রিপুরার ভোটারদের এ বিষয়টির (‘না-ভোট’) গুরুত্ব বোঝানোর জন্য নির্বাচন দফতর কী ব্যবস্থা নিয়েছে? নির্বাচন-কর্তা জানান, কমিশন অনেক দিন ধরেই খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোটারদের সচেতন করছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশ আদিবাসী। রাজ্য সরকারের একটি হিসেব অনুযায়ী, বিপিএল নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ৬৭ শতাংশ। তাঁদের এ নিয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছে কমিশন।

আশুতোষবাবু জানান, রাজ্যে লোকসভা ভোটের জন্য এ বার প্রায় ২০-২২ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩০৯৫টি। তার মধ্যে ২৫টি ‘অত্যন্ত সংবেদনশীল’। ৩৫০টি ‘সংবেদনশীল’। ১০টি বুথ মহিলা-পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, ভোট গ্রহণের সময়ে নিরাপত্তার কারণে, প্রথম পর্বে ৬ এবং ৭ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় পর্বে ১১ ও ১২ এপ্রিল আকাশ থেকে নজরদারির ব্যবস্থা করছে নির্বাচন দফতর। ত্রিপুরায় ৭ জন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে নজরদারির জন্য।

এ দিকে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে অন্য রাজ্য থেকে আসা নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কোনও কোনও জায়গায় ‘ভাষাগত’ কারণে কিছু ‘সমস্যা’ তৈরি হচ্ছে বলে কমিশনের কাছে খবর গিয়েছে। কর্তব্যরত রক্ষীরা সাধারণ মানুষকে ‘হেনস্থা’ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এ নিয়ে জানান, এখনও এ রকম কোনও অভিযোগ তাঁর কাছে যায়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে তা নিয়ে খোঁজখবর করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement