দিল্লি জিততে অস্ত্র শিখ দাঙ্গা

ঝাড়খণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীরের পালা সাঙ্গ। এ বার মিশন দিল্লি। সেই লক্ষ্যে আজ থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ল শাসক দল বিজেপি। আজ নির্বাচনের ফল সামনে আসতেই দিল্লির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী শিখ সম্প্রদায়ের সমর্থন পেতে তৎপর হল কেন্দ্র। আগেই ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর এ বার ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গা নিয়ে অভিযোগ জানতে একটি কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৪০
Share:

ঝাড়খণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীরের পালা সাঙ্গ। এ বার মিশন দিল্লি। সেই লক্ষ্যে আজ থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ল শাসক দল বিজেপি।

Advertisement

আজ নির্বাচনের ফল সামনে আসতেই দিল্লির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী শিখ সম্প্রদায়ের সমর্থন পেতে তৎপর হল কেন্দ্র। আগেই ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর এ বার ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গা নিয়ে অভিযোগ জানতে একটি কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এক কথায়, নতুন করে শিখ-বিরোধী দাঙ্গার তদন্ত শুরু করার আশ্বাস দিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা।

প্রয়োজনে ওই দাঙ্গার পিছনে মূল মাথাদের ধরতে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রথম থেকেই আদালতে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন, ওই ঘটনার পিছনে দায়ী ছিলেন জগদীশ টাইটলার, সজ্জন কুমারের মতো কংগ্রেস নেতারা। ওই নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাও চলছে।

কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, গত দশ বছরে কেন্দ্রে ও দিল্লিতে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকায় অভিযুক্তদের ভূমিকা লঘু করার চেষ্টা হয়েছে। দিল্লিতে ভোটের আগে তাই শিখ-বিরোধী দাঙ্গাকে হাতিয়ার করে আসরে নামতে চাইছে বিজেপি।

আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, শিখ-বিরোধী দাঙ্গা সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ তাদের কাছে জমা পড়েছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জি পি মাথুরের নেতৃত্বে একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্যাতিত পরিবারগুলি ইচ্ছে করলে নিজেদের অভিযোগ ওই কমিটির কাছে জানাতে পারবেন।

আগামী তিন মাসের মধ্যে কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে কেন্দ্রকে। প্রয়োজনে শিখ দাঙ্গার তদন্ত সিট-কে দিয়ে করানোর প্রয়োজন রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখবে নতুন কমিটি।

বিজেপির এই শিখ প্রীতির পিছনে কাজ করছে আম আদমি পার্টিকে নিয়ে ভীতিও। মূলত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে শিখ সমাজের ওই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে গত নির্বাচনে তাঁদের বিপুল সমর্থন পায় অরবিন্দ কেজরীবালের দল। এ বার তাদের সেই সুযোগ দিতে আর রাজি নয় বিজেপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন