‘নিখোঁজ’ কেজরীর নামে পোস্টার।
রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বাড়ার আগে দিল্লিতে সরকার গড়ার উদ্যোগ শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির কিছু বিধায়কের সমর্থন পেতে দর কষাকষিও শুরু হয়েছে। সে ক্ষেত্রে জনকপুরী থেকে দলের বিধায়ক জগদীশ মুখীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরে সরকার গড়ার প্রস্তাব দিচ্ছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপিরই একাংশ বলছেন, এ ভাবে সরকার গড়া হলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। অন্য দলের বিধায়করা স্বেচ্ছায় বিজেপিকে সমর্থনে রাজি হলেও বিরোধীরা কেনাবেচার অভিযোগই তুলবে। অবশেষে ঠিক হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে ফেরার পরেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গড়েও ৪৯ দিনের মাথায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন আপনেতা অরবিন্দ কেজরীবাল। তার পর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলেও বিধানসভা ভাঙা হয়নি। অগস্টের মধ্যে কোনও দল সরকার গড়ার দাবি না জানালে ফের রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বাড়বে। অমিত শাহ বিজেপির সভাপতি হয়েই রাজ্য নেতাদের বলেন, সরকার গড়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখুন। লোকসভা নির্বাচনে সাতটি কেন্দ্রেই বিজেপি জিতেছে। সেই রেশটিকে কাজে লাগিয়ে অমিত শাহ এখন বিজেপির ঝুলিতে আরও একটি রাজ্য যোগ করতে চান। এই কাজে বিজেপির প্রয়োজন আরও দু’জন বিধায়কের সমর্থন। সেটি অন্য দল ভাঙিয়ে
করা হবে, না বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সময় শুধু সমর্থনটুকুই আদায় করা হবে, তাই নিয়েই আলোচনা চলছে।
জল ঢেলে দিতে আসরে নেমেছে কংগ্রেস ও আপও। কেজরীবাল অভিযোগ করেছেন, “বিজেপি আপ বিধায়কদের কিনতে ব্যর্থ হয়ে এখন কংগ্রেসের ছয় বিধায়কের দিকে হাত বাড়িয়েছে। প্রত্যেককে ২০ কোটি টাকার টোপ দিচ্ছে। সঙ্গে দু’জনকে মন্ত্রী ও ৪ জনকে বিভিন্ন সংস্থার চেয়ারম্যান করার আশ্বাস।” কংগ্রেসের অরবিন্দ সিংহ লাভলি বলেন, “আমরা দলের সব বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছি। কেউই বিজেপির সঙ্গে যাচ্ছেন না।” কেনাবেচা থেকে নিষ্কৃতি পেতে কংগ্রেস নেতৃত্ব সরাসরি নির্বাচনেই চলে যাওয়ার পক্ষে। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফল দেখে বিধায়করা মোটেই তা চাইছেন না। বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উড়িয়ে দিল্লির বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরি বলেছেন, অরবিন্দ আসলে হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাঁর মানসিক চিকিৎসা দরকার। দিল্লির কিছু বাসিন্দা আবার কেজরীবাল নিখোঁজ বলে পোস্টারও দিয়েছেন শহরে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে তা।