ধর্ষণের অভিযোগ ‘ফ্যাশন’, পুলিশকর্তার পাশে শিবসেনা

ধর্ষণে অভিযুক্ত উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার সুনীল পারাস্করকে সমর্থনের অভিযোগ উঠল শিবসেনার বিরুদ্ধে। দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয় বিভাগে পারাস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, “উত্তেজনা ছড়ানোর জন্যই শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হচ্ছে সমাজের উঁচু স্তরে। পুরুষদের ধর্ষণে অভিযুক্ত করাটাই ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৪ ০৩:০৯
Share:

ধর্ষণে অভিযুক্ত উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার সুনীল পারাস্করকে সমর্থনের অভিযোগ উঠল শিবসেনার বিরুদ্ধে।

Advertisement

দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয় বিভাগে পারাস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, “উত্তেজনা ছড়ানোর জন্যই শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হচ্ছে সমাজের উঁচু স্তরে। পুরুষদের ধর্ষণে অভিযুক্ত করাটাই ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।”

সাতান্ন বছরের সুনীল এই মুহূর্তে মুম্বই পুলিশের ডিআইজি পদে কর্মরত। জুলাই মাসে এক তরুণী তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পেশায় মডেল ওই তরুণী জানান, মালাড মাড আইল্যান্ড এবং নভি মুম্বইয়ের একটি ফ্ল্যাটে ২০১৩-র অক্টোবর এবং ডিসেম্বর মাসে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন সুনীল। এর পরই দায়রা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান সুনীল। আদালত ৩১ জুলাই পর্যন্ত সুনীলের গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। শনিবার ফের আদালতে তোলা হয় সুনীলকে। গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়িয়ে ৫ অগস্ট করা হয়।

Advertisement

শিবসেনার ক্ষোভ, দীর্ঘদিন দক্ষ আইপিএস অফিসার হিসেবে কাজ করা সত্ত্বেও তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে এক রাতের মধ্যেই খলনায়ক হয়ে উঠেছেন সুনীল। নিজে থেকেই উদ্যোগী হয়ে সুনীলকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সংবাদমাধ্যম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর খ্যাতি, বিশ্বাসযোগ্যতা, এবং চাকরি জীবন। শিবসেনার দাবি, দেশের সব আইন মহিলাদের পক্ষে। আর তারই সুযোগ নিচ্ছেন অনেকে। নির্ভয়া-কাণ্ডের পর যে নতুন আইন তৈরি হয়েছে, ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটানোর জন্য তার ব্যবহার করছে কেউ কেউ।

ধর্ষণের মতো অপরাধ নিয়ে শিবসেনার এ হেন মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিজেপি-ও। কেন্দ্রে এনডিএ সরকারের শরিক শিবসেনা। বিজেপির মুখপাত্র শাইনা এনসি বলেছেন, “যাঁরা ধর্ষণের অভিযোগকে ফ্যাশন বলেন তাঁদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন।” সংবাদমাধ্যমে খোদ নিগৃহীতা জানিয়েছেন, মামলাটি আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত। সত্যিটা না জেনে ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়।

সমালোচনার মুখে পড়ে টুইট করেছেন যুবসেনা প্রধান আদিত্য ঠাকড়েও। বলেছেন, “আমরা কাউকে সমর্থন করছি না। শুধু বলছি, যত ক্ষণ না অভিযোগ প্রমাণিত হচ্ছে, তত ক্ষণ কাউকেই ধর্ষকের তকমা দিয়ে দেওয়া উচিত নয়।”

শনিবারই ‘পলিগ্রাফ টেস্ট’-এর অনুমতি চেয়ে সুনীলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে মুম্বই পুলিশ। ‘লাই ডিটেক্টর টেস্ট’-এর অনুমতি চেয়ে চিঠি যায় নিগৃহীতার কাছেও। সুনীলের আইনজীবী রিজওয়ান জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে রাজি নয় কোনও ভাবেই। অন্য দিকে ‘লাই ডিটেক্টর’ টেস্ট-এ বসতে রাজি হয়েছেন নিগৃহীতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন