বিদ্রোহী জেডিইউ গোষ্ঠীর শাসনকালে গৃহীত মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তগুলি সম্প্রতি বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। প্রতিবাদে আজ এক দিনের প্রতীকী অনশন করলেন গদিচ্যূত জিতনরাম মাঁঝি। তাঁর মন্তব্য, “অহঙ্কারেই তিনি (নীতীশ) এ কাজ করলেন। জনগণ তার বিচার করবেন।”
অনশনে বসবেন নীতীশও। সঙ্গে থাকবেন জেডিইউয়ের অন্য নেতারা। কেন্দ্রীয় সরকারের জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে ১৪ মার্চ ওই আন্দোলন শুরু হবে। বিহার জেডিইউয়ের সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহ বলেন, “কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত কৃষকদের স্বার্থবিরোধী। মানুষকে সজাগ করতেই আমরা এই পথে এগোব।”
মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার আগে ৩৪টি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জিতনরামের মন্ত্রিসভা। তার মধ্যে ছিল পুলিশ, হোমগার্ড ও চুক্তি শিক্ষকদের বেতনবৃদ্ধি, কৃষকদের জন্য নতুন প্রকল্প, গ্রামের গরিব বাসিন্দাদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ২২ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নীতীশ জানিয়েছিলেন, আগের মন্ত্রিসভার গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি তিনি বিবেচনা করে দেখবেন। কিন্তু ৪ মার্চ মাঁঝি মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তগুলি বাতিল করা হয়।
তারই প্রতিবাদে এ দিন প্রাক্তন মন্ত্রী ব্রিশেন পটেল ও কয়েক জন সমর্থককে নিয়ে গাঁধী ময়দানে অনশনে বসেন জিতনরাম। তিনি বলেন, “নীতীশ কুমার মনে করেন, তিনি ছাড়া অন্য কেউ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এটা তাঁর অহঙ্কার। সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই ওই সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছিলাম।” মাঁঝির বক্তব্য, “আমি অনেক দিন মন্ত্রী ছিলাম। কোনটি আইনবিরুদ্ধ বা কোনটি নয় তা ভাল ভাবেই জানি।”
রাজনীতির ময়দানে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে ২০ এপ্রিল নতুন দল তৈরির কথা ঘোষণা করতে পারেন জিতনরাম। ইতিমধ্যে তিনি ‘হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা’ নামে একটি সংগঠনের নাম জানিয়েছেন। মাঁঝি শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন দলটি বিহারের ভোটে ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২৫টিতে প্রার্থী দিতে পারে। তবে, ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হলে জিতনরাম বিজেপি না লালু-নীতীশ জোটের দিকে ঝুঁকবেন, তা স্পষ্ট হয়নি।