প্রবীণদের লড়াইয়ে নামালেনই রাহুল

কংগ্রেসের দুঃসময়ে দলের মহারথীদের কিছুটা চাপ দিয়েই ভোট যুদ্ধে নামিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী। অমৃতসর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অরুণ জেটলি-র বিরুদ্ধে তিনি লড়তে নামালেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৪ ০৪:২২
Share:

কংগ্রেসের দুঃসময়ে দলের মহারথীদের কিছুটা চাপ দিয়েই ভোট যুদ্ধে নামিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী। অমৃতসর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অরুণ জেটলি-র বিরুদ্ধে তিনি লড়তে নামালেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহকে। পঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিবেও প্রার্থী করা হল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী অম্বিকা সোনিকে। একই সমীকরণে পশ্চিমবঙ্গেও প্রার্থী করা হল প্রদেশ কংগ্রেসের দুই প্রবীণ নেতা মানস ভুঁইয়া ও আব্দুল মান্নানকে।

Advertisement

মজার বিষয় হল, কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এই নেতাদের সকলেই গোড়ায় ভোটে দাঁড়াতে নিমরাজি ছিলেন। প্রকাশ্যে তাঁরা ‘হাইকম্যান্ডের নির্দেশ শিরোধার্য’ বলেও ঘরোয়া আলোচনায় নানা অজুহাত খাড়া করছিলেন। এমনকী পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র দু’দিন আগে এমন কথাও বলেছেন, “অমৃতসরে আমি বহিরাগত হয়ে যাব। সেখানকার স্থানীয় সমস্যার কিছুই জানি না। তাই স্থানীয় কারওকে প্রার্থী করলে ভাল।”

কিন্তু সে কথা রাহুল শুনলেন কই! কংগ্রেস সূত্র বলছে, অমরেন্দ্রকে ফোন করে রাহুল তাঁকে জানিয়ে দেন, ভোটে লড়তেই হবে। অম্বিকা সোনিকেও রাহুলই রাজি করান।

Advertisement

রাহুল শিবিরের এক নেতা আজ জানান, কংগ্রেস সহ-সভাপতির উদ্দেশ্য দু’টি। প্রথমটা হল, দলের তাবড় নেতাদের প্রার্থী করে বিজেপি-সহ বিরোধীদের প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া। তা ছাড়া, দলের শীর্ষ সারির নেতারা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করছে দেখলে নিচু তলার কর্মীরাও উজ্জীবিত হবেন।

সে কথা ভেবেই রাহুল পঞ্জাবে কংগ্রেসের ক্যাপ্টেনকে প্রার্থী করেছেন অমৃতসরে। বিজেপি-র প্রথম সারির নেতা অরুণ জেটলি পঞ্জাবে বহিরাগত। জীবনে প্রথম বার লোকসভা ভোটে লড়ছেন। গত লোকসভা ভোটে ওই আসনে প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিংহ সিধু কংগ্রেসের প্রার্থীর থেকে মাত্র সাত হাজার ভোটে জিতেছিলেন। অমরেন্দ্র সিংহের মতো দাপুটে ও পোড় খাওয়া রাজনীতিককে অমৃতসরে প্রার্থী করে জেটলি-র লড়াই কঠিন করে তুললেন রাহুল।

তবে রাহুল শিবির বলছে, দলের শীর্ষ সারির নেতাদের এ ভাবে লড়াইয়ে নামিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে দ্বিতীয় কারণটি একেবারে সহজ নয়। রাহুল-ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতাদের আশঙ্কা, বর্ষীয়ান যে নেতারা ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন না, শেষ পর্যন্ত বিপর্যয় হলে তাঁরাই রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে আঙুল তুলতে পারেন। তাই কৌশলে শীর্ষ নেতাদের একে একে প্রার্থী করতে শুরু করেছেন রাহুল। এমনকী দিগ্বিজয় সিংহকে প্রার্থী না করা হলেও তাঁর ভাই লক্ষণকে সুষমা স্বরাজের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে তাঁকেও চাপে রেখেছেন রাহুল। যাতে জয় বা পরাজয় যাই হোক, তার দায় যেন শুধু রাহুলের ওপর না বর্তায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement