উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের শনিবারের অধিবেশনকে অবৈধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন অসমের রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালাকৃষ্ণ আচার্য। পরিষদের মুখ্য কার্যবাহী সদস্য (সিইএম) পদে নির্বাচনের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা তাতে বলা হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য কার্যবাহী সদস্যের আসনে বসতে আরও দু’দিন অপেক্ষা করতে হবে দেবজিৎ থাওসেনকে।
গত কাল উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদে সিইএম নির্বাচনের জন্য বিশেষ অধিবেশন বসেছিল। তাকে অবৈধ ঘোষণা করে পরিষদ অধ্যক্ষ নম্রথাং মারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পার্বত্য পরিষদের গত কালের অধিবেশন রাজ্যপালের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাজ্যপাল তাকে অবৈধ ঘোষণা করায় সরকারি ভাবে সিইএম থাকলেন না দেবজিৎ। আগামী কাল ফের তাঁকে সিইএম পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
বর্তমানে পার্বত্য পরিষদে কংগ্রেস ১৬ জন সদস্য নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ। অন্য দিকে রাজ্যপাল মনোনীত দুই সদস্য-সহ পরিষদে বিজেপির শক্তি ১৪। পরিষদ ধরে রাখতে বিজেপি সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত কাল সিইএম পদে বসেছিলেন দেবজিৎ থাওসেন। তা নিয়ে কংগ্রেস শিবিরে উচ্ছ্বাস ছিল। কিন্তু রাজ্যপাল তা অবৈধ ঘোষণা করায় এ নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, পার্বত্য পরিষদের প্রধান রাজ্যপাল। তাই তাঁর অনুমতি ছাড়া সিইএম নির্বাচনের জন্য অধিবেশন করা যায় না। পরিষদের বিশেষ অধিবেশনের আগে পূর্বতন সিইএম নিরঞ্জন হোজাই পদত্যাগ করেছিলেন। সে সময় রাজ্যপাল অসমের বাইরে ছিলেন। রাজ্যপাল সিইএমের পদত্যাগ গ্রহণ করে সিইএম নির্বাচনের জন্য বিশেষ অধিবেশন ডাকার বিজ্ঞপ্তি জারি না করলে তা করা যায় না।
এই নির্দেশের জেরে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সচিব মুকুট কেম্প্রাই সিইএম নির্বাচনের জন্য আগামী কাল মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি পরিষদের সিইএম নির্বাচন হবে বলে পরিষদের সদস্যদের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।