চেনা মেজাজে। দিল্লিতে ইয়াসির ইকবালের তোলা ছবি।
তিলক লেন-এ অরবিন্দ কেজরীবালের ডেরায় আজ বিকেলে দলবল নিয়ে প্রায় ঢুকে পড়েছিলেন নয়াদিল্লি লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ! আগে-পিছে অটোবাহিনীতে তখন চলছে ‘পুকারতা চলা হুঁ ম্যায়..।’ শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশের বাধায় ‘আপ’-এর অন্দরমহলে ঢুকতে পারল না তৃণমূল। বিশ্বজিতের কনভয় ঘুরে গেল ইন্ডিয়া গেটের দিকে।
গত দু’দিন ধরে রাজধানীর চড়া রোদ উপেক্ষা করেই খোলা জিপে রাজপথে টহল দিচ্ছেন বিশ্বজিৎ। তাঁর অভিনীত ছবির গানের ফাঁকে ফাঁকে চলছে রেকর্ড করা প্রচার“ম্যায় হুঁ বিশ্বজিৎ, বলিউড অভিনেতা...।” পোস্টার বিলি হচ্ছে তাঁর পুরনো ছবির কোলাজ বানিয়ে।
কাল চিত্তরঞ্জন পার্কে বাঙালিদের মধ্যে গিয়ে যথেষ্ট উৎসাহিত প্রবীণ নায়ক। বললেন, “আমাকে দেখতে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। প্রশ্ন করছেন। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। এখানকার বঙ্গসমাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা যে কতটা, তা বেশ টের পাচ্ছি।”
আজ মান্ডি হাউস থেকে যাত্রা শুরুর আগে তাঁর ‘দুই ভাই’ ছবির নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন বিশ্বজিৎ। ঘটনাচক্রে আজ একটি সরকারি খেতাব নিতে দিল্লি এসেছিলেন সাবিত্রী। বিশ্বজিৎ ইন্ডিয়া গেটে তাঁর প্রচারসভায় আসার জন্য সাবিত্রীকে অনুরোধ করেন। সাবিত্রী জানান, আজই তাঁকে কলকাতায় ফিরতে হবে, তাই ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারবেন না। নায়ককে শুভেচ্ছা জানিয়ে নায়িকা বলেন, ফিল্ম জগতে একমাত্র বিশ্বজিৎই এখনও রয়েছেন, যিনি তাঁকে ‘সাবু’ বলে ডাকেন!
আজ অবশ্য ব্যস্ত জনপদে বিশ্বজিৎকে দেখে অনেকেই চিনতে পারেননি। কিন্তু তিলক লেনের মহল্লায় বেশ কয়েক বার দাঁড়াতে হয়েছে তাঁকে। মালা পরেছেন, অভিবাদন গ্রহণ করেছেন। বিশ্বজিৎ বলেন, যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন এনেছেন, সে ভাবে দিল্লিতেও ঝড় তুলবেন তৃণমূল নেত্রী। সেই বদলের ডাকে সাড়া দিতেই তিনি মুম্বই ছেড়ে দিল্লি এসেছেন। তাঁকে সমর্থন করতে মুম্বই থেকে বেশ কিছু তারকা আসবেন বলে আশা করছেন বিশ্বজিৎ। আসতে পারেন বেশ কিছু প্রাক্তন ক্রিকেটারও।