ধস নেমে শিলচর-হাফলং ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ফের বন্ধ হল।
গত মঙ্গলবারও বান্দরখালে দূরবীণটিলায় ধস নেমে জাতীয় সড়কে ৫ ঘণ্টা যান চলাচল থমকে ছিল। পরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ধস সরিয়ে দেয়। বৃষ্টিতে গত কাল ফের দূরবীণটিলায় ওই সড়কেই ধস নামে। তাতে দু’দিন ধরে ডিমা হাসাও জেলার সঙ্গে বরাক উপত্যকার অন্য এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ডিমা হাসাও ও বরাক উপত্যকা-সহ দক্ষিণ অসমের বাসিন্দাদের কাছে ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কার্যত ‘লাইফ-লাইন’। কিন্তু একটানা বৃষ্টিতে প্রায় প্রতি দিনই ধস নেমে ওই সড়ক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর বক্তব্য, বর্তমানে বান্দরখালের দূরবীণটিলার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রাস্তাটি বদলেছে মরণফাঁদে। এমনিতে বান্দরখালের ওই অংশটি ধস-প্রবণ এলাকা। সামান্য বৃষ্টিতেই ধস নামে। গত ১০ দিন থেকে পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। যার দরুণ ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কের হাল আরও শোচনীয় হয়ে উঠেছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বৃষ্টিতে বার বার ওই রাস্তায় ধস নেমে আসছে। দূরবীণটিলার পাহাড় রাস্তার উপর বসে গিয়েছে। যাতে রাস্তার পরিসর ছোট হয়েছে। সড়কের বেশিরভাগ অংশ ভেঙে জাটিঙ্গা নদীর জলে ডুবেছে। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার ওই অংশ দিয়ে যানবাহন যাতায়াত করে। এখন সেখানে ধস সারাইয়ের কাজ চলছে। বৃষ্টি না হলে শনিবারের মধ্যে ওই সড়কে যানবাহন স্বাভাবিক হতে পারে।
এ দিকে গত দু’দিন ধরে ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী দুর্ভোগ বেড়েছে।