জিতনরাম মাঁঝির আস্থা ভোটে বিধানসভার বিরোধী আসনে বসতে চায় জেডিইউ। তা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে তুমুল টানাপড়েন চলছে নীতীশ কুমারের শিবিরের। আজ স্পিকার উদয়নারায়ণ চৌধুরীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী আসনে বসার দাবি তুলেছে দু’পক্ষই। তবে, সন্ধে পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্ত জানাননি বিধানসভার স্পিকার।
আস্থা ভোটে বিজেপির অবস্থান কী হবে, তা ঠিক করতে এ দিন সন্ধেয় বিধায়ক দলের বৈঠক বসেছিল। সেখানে হাজির ছিলেন দিল্লি নেতৃত্বের পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র সিংহ। বৈঠকের পর দলের মুখপাত্র বিনোদ নারায়ণ ঝা জানান, আস্থা ভোটে বিজেপি জিতনরামের পাশেই দাঁড়াবে।
জিতনরাম-নীতীশের দ্বন্দ্বে বিহারে রাজনৈতিক জটিলতা তৈরির আগে বিধানসভার বিরোধী দল ছিল বিজেপিই। ওই শিবিরে বিধায়ক সংখ্যা ৮৭ জন। নীতীশ-পক্ষের দাবি, জিতনরাম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের ছাড়া তাঁদের দিকে এখন ১০৭ জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। আস্থা ভোটে তাঁরা জিতনরামের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন। তাই ট্রেজারি বেঞ্চ নয়, সর্ববৃহৎ বিরোধী শিবির হিসেবে বিধানসভার বিরোধী আসনেই বসতে চায় জেডিইউ।
তা একেবারে মানতে রাজি নয় বিজেপি। স্পিকারের ডাকা বৈঠকে এ নিয়ে খোলাখুলি ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলীয় নেতারা। মাঝপথে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে বিহারের বিরোধী দল নেতা নন্দকিশোর যাদব বলেন, “বিধানসভা সচিবালয় এখন জেডিইউ অফিসে বদলে গিয়েছে। সব সিদ্ধান্ত বৈঠকের আগে হয়ে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সবাইকে ডেকে আলোচনার দরকারই ছিল না।” জেডিইউয়ের বিধানসভার নেতা বিজয় চৌধুরী বলেছেন, “বিরোধী আসনে কে বসবে, তা কি বিজেপি ঠিক করে দেবে? ওঁরা এ নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।” বিধানসভা সূত্রে খবর, আস্থা ভোটের পুরো প্রক্রিয়া কী ভাবে হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব স্পিকারের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা। স্পিকার উদয়নারায়ণের কাছে জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস মিলিত ভাবে শুধু জানতে চেয়েছে, জিতনরাম এখন কোন দলের প্রতিনিধি তা যেন স্পষ্ট করা হয়।
এ দিনের বৈঠকে জিতনরাম বা তাঁর শিবিরের কোনও নেতা হাজির ছিলেন না। তাঁর ঘনিষ্ঠ সংসদীয় মন্ত্রী ব্রিশেন পটেল দাবি করেন, তাঁরা বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ
পাননি। জিতনরাম মন্ত্রিসভার সদস্য বিনয় বিহারী বলেছেন, “বিধানসভা এখন আইন মেনে কাজ করছে না।” উল্লেখ্য, স্পিকার উদয়নারায়ণের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তাঁর নজরদারিতে আস্থা ভোট না করানোর নির্দেশ জারির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিনয়বাবুরা।