বিয়ে করবেন উপযুক্ত পাত্রী পেলেই

ফের সেই প্রশ্নের মুখে রাহুল গাঁধী। বিয়ে কবে করছেন? এ বার তরুণ কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, তিনি উপযুক্ত পাত্রী পেলেই বিয়ে করবেন। দিল্লিতে গত কাল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে হাল্কা মেজাজে এক সাক্ষাৎকার দেন রাহুল। আগে এক বার তিনি জানিয়েছিলেন, রাজনীতিতে নিজেকে উৎসর্গ করায় তিনি বিয়ে করতে চান না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৪ ০৩:২৪
Share:

সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

ফের সেই প্রশ্নের মুখে রাহুল গাঁধী। বিয়ে কবে করছেন? এ বার তরুণ কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, তিনি উপযুক্ত পাত্রী পেলেই বিয়ে করবেন।

Advertisement

দিল্লিতে গত কাল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে হাল্কা মেজাজে এক সাক্ষাৎকার দেন রাহুল। আগে এক বার তিনি জানিয়েছিলেন, রাজনীতিতে নিজেকে উৎসর্গ করায় তিনি বিয়ে করতে চান না। সম্প্রতি হরিয়ানায় এক কৃষক তাঁর কাছে জানতে চান, মহিলা ক্ষমতায়ন নিয়ে তিনি অনেক কথা বলেন। তা হলে বিয়ে করছেন না কেন। অপ্রতিভ হয়ে রাহুল বলেন, “ও সব কথা এখন থাক।”

গত কাল রাহুল বলেছেন, “এই প্রশ্নটা বার বার ঘুরে ফিরে আসে। উপযুক্ত পাত্রী পেলেই বিয়ে করব।” কবে? এক বছর পরে? দু’বছর পরে? “যখনই তাঁর সন্ধান পাব।” তা হলে এখনও পাননি? রাহুল নিরুত্তর।

Advertisement

গাঁধী-নেহরু পরিবারের তরুণ নেতার বিয়ে নিয়ে জল্পনা তাই তুঙ্গে উঠেছে। রাজনৈতিক শিবিরের অনেকের মত, গাঁধী-নেহরু পরিবারের ‘বহু’দের সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে যায়। তাই হয়তো কিছুটা সতর্ক রাহুল।

ব্রিটেনে পড়তে গিয়ে সনিয়ার সঙ্গে রাজীব গাঁধীর প্রেমের কথা বহুচর্চিত। প্রথমে ইন্দিরার এই বিয়েতে তেমন মত ছিল না বলেও শোনা যায় নানা সূত্রে। পরে অবশ্য সনিয়াকে মেনে নিয়েছিলেন তিনি। ভারতে এসে প্রথমে কিছু দিন একদা রাজীব-ঘনিষ্ঠ অমিতাভ বচ্চনের বাড়িতে ছিলেন সনিয়া। ইন্দিরার কাছে শাড়ি পরা থেকে শুরু করে হিন্দি শেখা, ধীরে ধীরে ভারতীয়ত্বে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন সনিয়া। এক সময়ে সঞ্জয় গাঁধীর স্ত্রী মেনকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ইন্দিরার। কংগ্রেস রাজনীতিতে সঞ্জয়ের আধিপত্যের সময়ে কাছাকাছি এসেছিলেন তাঁরা। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পরে ইন্দিরার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় মেনকার। এখন রাজনৈতিক ভাবে উল্টো শিবিরে অবস্থান মেনকা ও তাঁর ছেলে বরুণের। ক্রমশ সনিয়া হন ইন্দিরার সব চেয়ে ঘনিষ্ঠ বউমা।

কিন্তু পরবর্তী কালে সমস্যা এসেছিল অন্য দিক থেকে। কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিপাকে পড়েন সনিয়া। ‘বিদেশিনি’ হিসেবে নানা আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। সনিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে মাথা মুড়িয়ে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। মনমোহন সিংহকে প্রধানমন্ত্রী করে অবশ্য বিরোধীদের কিস্তিমাত করে দেন সনিয়া।

রাজনীতির এই রঙে সর্বদা রঙিন থাকে নেহরু-গাঁধীদের জীবন। কখনও সনিয়া, রাহুলের বিরুদ্ধে প্রচারে যাবেন কি না, সেই প্রশ্ন শোনেন বরুণ। কখনও বা মেনকা-বরুণ সম্পর্কে রাহুলদের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এর পর সতর্ক হলে রাহুলকে দোষ দেওয়া যায় কি?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন