বরাকের আতিথেয়তায় মুগ্ধ বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলি। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে রবিবার তিনি ভারতে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সে দেশের সাংসদ ইমরান আহমদ। সোমবার তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেন। মঙ্গলবার শিলচরের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার তরফ থেকে তাঁদের সংবর্ধনা জানানো হয়।
ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মন্ত্রী বলেন, “বরাকে এলে মনে হয়, নিজের দেশেই রয়েছি। ভাষা-সংস্কৃতির দিক থেকে দু’জায়গার কোনও ফারাক নেই।” সাংসদ ইমরান বলেন, “এখানে এসে মনের টান, অন্তরের টান, নাড়ির টান অনুভব করলাম। তবে, আমাদের দু’জনকে আরও সহজ হতে হবে।’’
বক্তব্যের ফাঁকে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পড়শি দেশের মন্ত্রী। তিনি বলেন, “এ দেশে ঢুকতে বড় যন্ত্রণা। পাসপোর্ট-ভিসা থাকলেও হাতের ছাপ দিতে হয়। তা ছাড়া, অন্য নিয়ম-কানুন তো রয়েছেই। বাংলাদেশে এত ঝামেলা নেই।”
ভারতে প্রবেশের ‘পাসপোর্ট চেকিং পয়েন্ট’-এ কড়াকড়ি নিয়ে একই সুর শিলচরের একটি সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে গত মাসে বাংলাদেশ সফরে যাওয়া শিল্পী চক্রবর্তীর কথায়। তাঁর মন্তব্য, “আসা-যাওয়ার ব্যাপারটা যদি আরও একটু সহজ করা যেত।”
করিমগঞ্জের এসপি জানান, বাংলাদেশ থেকে আসার জন্য, ভারত জুড়ে একই নিয়ম বহাল। মন্ত্রী-সাংসদদের কাছে বিশেষ পাসপোর্ট থাকে। তাঁদের হাতে কালি লাগিয়ে ছাপ নেওয়া হয় না। বাংলাদেশের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী এবং সাংসদকেও দিতে হয়নি। কিন্তু তাঁদের সফর-সঙ্গীদের তা করতে হয়েছে। এসপি রাভা বলেন, ভিসা ছাড়া আরও চার জনকে মন্ত্রী নিজের সঙ্গে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। তার অনুমতি মেলেনি।
বুধবার দেশে ফেরার পথে, নদী-সীমান্তে মহসিন আলি জানান, করিমগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। অনুমোদন মিললে প্রস্তাব পাঠানো হবে ভারতের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, নতুন তিনটি সীমান্ত-হাট খোলার কথাবার্তা চলছে।