বড়োল্যান্ড গঠনের দাবি ও বড়োদের স্বার্থ, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যৌথ মঞ্চ গঠন করে সর্বসম্মত প্রার্থী দিল আবসু, বিপিপিএফ, এনডিএফবি (আলোচনাপন্থী), ইউডিপিএফ এবং বড়োল্যান্ডের দাবিতে গঠিত যৌথ মঞ্চ পিজেএসিবিএম।
শনিবার শাসক-জোট বিরোধী ওই সব দল, সংগঠনের বৈঠক হয় চিরাং জেলার কাজলগাঁওতে। সেখানে ঠিক হয়, বিপিএফ-এর প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে না। জোট গড়ে বিপিএফের বিরুদ্ধেই লড়তে হবে।
আবসু-র আন্দোলন থেকেই বিপিএফ-এর উৎপত্তি। এখন, সেই বড়ো ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বিপিএফ-এর মতের অমিল চরমে। আলোচনাপন্থী এনডিএফবি ও যৌথ মঞ্চের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পৃথক বড়োল্যান্ডের জন্য লড়াই চালাচ্ছে আবসু। বিপিএফ প্রধান হাগ্রামা বড়োল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন জানালেও, তাঁর জোট শরিক কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা অসম ভাগ চায় না।
আবসু-র বক্তব্য, ক্ষমতালোভী হাগ্রামা কখনওই তরুণ গগৈয়ের হাত ছেড়ে দিয়ে বড়োল্যান্ডের আন্দোলনে সামিল হবেন না। বড়ো জাতির অধিকারের স্বার্থেই তা-ই সর্বসম্মত নির্দল প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ উরখাও গওরা ব্রহ্ম কোকরাঝাড়ে বিরোধী জোটের নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। মঙ্গলদৈ ও তেজপুরে যৌথ মঞ্চ কোন প্রার্থীকে সমর্থন করবে, ২০ মার্চ তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ দিকে, কোকরাঝাড়ে বিপিএফ প্রার্থী এখনও ঠিক করা হয়নি। বর্তমান সাংসদ সাংসুমা বিসমুতিয়ারি, হেমেন্দ্রনাথ ব্রহ্ম ও প্রমীণারানি ব্রহ্ম প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
শিবির নিয়ে আশঙ্কায় আলফা। একের পর এক আত্মসমর্পণ করছে সহযোদ্ধারা। কখনও শিবিরে ঘটছে আত্মহত্যা, কখনও সেখান থেকে কেউ কেউ চলেও যাচ্ছেএ সবে আশঙ্কিত আলফার সংগ্রামপন্থী নেতৃত্ব। আলফার সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়ার বিবৃতিতে তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। পরেশ লিখেছেন, ‘সংগঠনের সব স্তরে পুলিশের চর ছড়িয়ে পড়ছে। তাদের প্রভাবে সংগঠনে বিরোধী মতাদর্শ ছড়িয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ভাবে অসম পুলিশ আলফার সংগ্রাম শেষ করতে পারবে না। দলের যে সব কর্মী তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, তারাও অপরাধী।’