ভোটে এগিয়ে নাগাল্যান্ড

গত বারের মতো এ বারেও লোকসভা নির্বাচনে ভোটদানের নিরিখে দেশের এক নম্বর রাজ্যের দৌড়ে এগিয়ে নাগাল্যান্ড। কমিশনের হিসেবে, সেখানে এ বার ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। কিন্তু কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে, রাজ্যের শাসক দল এনপিএফ বুথ দখল ও ঢালাও প্রক্সি ভোটে মদত দিয়েছে। সে জন্যই ভোটের শতাংশ বেড়েছে। মণিপুরে ভোট পড়েছে ৮৪.৫৬ শতাংশ। সেখানকার চারটি বুথে ১০০ শতাংশর বেশি ভোট পড়েছে। সে গুলিতে ফের ভোট নেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৪:৩৩
Share:

গত বারের মতো এ বারেও লোকসভা নির্বাচনে ভোটদানের নিরিখে দেশের এক নম্বর রাজ্যের দৌড়ে এগিয়ে নাগাল্যান্ড। কমিশনের হিসেবে, সেখানে এ বার ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।

Advertisement

কিন্তু কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে, রাজ্যের শাসক দল এনপিএফ বুথ দখল ও ঢালাও প্রক্সি ভোটে মদত দিয়েছে। সে জন্যই ভোটের শতাংশ বেড়েছে। মণিপুরে ভোট পড়েছে ৮৪.৫৬ শতাংশ। সেখানকার চারটি বুথে ১০০ শতাংশর বেশি ভোট পড়েছে। সে গুলিতে ফের ভোট নেওয়া হবে। মানুষকে বুথ-মুখী করতে অনেক পদক্ষেপ করেছিল মেঘালয়ের রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফল মিলেছে হাতেনাতে। কমিশন জানিয়েছে, এ বার তুরা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৮.১৩ শতাংশ। তা মেঘালয়ে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। রাজ্যে ভোটের হার প্রায় ৬৯ শতাংশ। আগের সমস্ত নির্বাচনের তুলনায় যা অনেকটা বেশি। অরুণাচলের সম্পূর্ণ তথ্য এখনও মেলেনি। শেষ পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, সেখানে ভোটদানের হার ছিল ৭০-৭২ শতাংশ।

নাগাল্যান্ডে ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে ৮৯.৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল। দেশের মধ্যে তা ছিল সর্বাধিক। তবে, কয়েক দিন আগে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার বলেন, ব্যাপক বুথ দখল এবং প্রক্সি ভোটের জেরেই এত ভোট পড়েছে। এ বারেও ছবিটা ছিল অনেকটা একই রকম। ভোটের হার প্রায় ৯০ শতাংশ। সেমিনিউয়ের একটি কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ, কিফিরের একটি কেন্দ্রে ৯৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। সব চেয়ে কম ভোট পড়েছে তুয়েনসাং-এ (৭২ শতাংশ)। প্রক্সি ভোট, রিগিং ঠেকাতে রাজ্যের ৮৪টি উত্তেজনা-প্রবণ কেন্দ্রে সিসিটিভি ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হয়। নজরদারিতে ছিলেন পাঁচ জন পরিদর্শক ও দেড়শ সহকারী (মাইক্রো) পরিদর্শক। প্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ, কমিশনের নজরদারিকে অগ্রাহ্য করে শাসক দল এনপিএফ যথেচ্ছ বুথ দখল, রিগিং করেছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন